ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টানা বন্ধে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন ইস্যুতে কর্মবিরতি ও চলমান পরিস্থিতিতে বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলে ঝুলছে তালা। এভাবে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে যে পরিবেশ প্রয়োজন এবং শিক্ষার্থীদের যে নিরাপত্তা দরকার, তা নিশ্চিতে সরকারকে গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গেল পহেলা জুলাই থেকেই দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর একযোগে কর্মবিরতি। দাবি, সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জীনাত হুদা বলেন, ‘সরকারিভাবে যেভাবে ঘোষণা তা আসলেই আমরা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবো এবং দ্রুত ক্লাসে ফিরবো।’

অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে। সমাবেশ, বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন। এরপর পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে কারফিউ জারি। এমন অবস্থায় বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষার্থীদের কোলাহল ভেঙে যেন পিনপতন নীরবতা।

বন্ধের সময় দীর্ঘ হলে শিক্ষার্থীদের কতটা ক্ষতি হবে? শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শুধু শিক্ষার্থী নয়, দেশ ও জাতিরও ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করেন সাবেক এই উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র সেখানে যদি আমরা একদিন পিছিয়ে পড়ি তাহলে দেশ বহুদিন পিছিয়ে পড়ে। আমার মনে হয় অতিদ্রুত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খুলে দেয়া আর কিছুটা সময় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করা দরকার আগে এ বিষয়ে সরকারকে সম্পৃক্ত হবার কথা বলছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, ‘যদি শিক্ষকরা দুই সপ্তাহ ক্লাস না নেই তাহলে এক সেমিস্টার পিছিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এইটা ভয়াবহ একটি ক্ষতি। শিক্ষা কার্যক্রম আমরা যত দ্রুত শুরু করতে পারি সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টানা বন্ধে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:২৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন ইস্যুতে কর্মবিরতি ও চলমান পরিস্থিতিতে বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলে ঝুলছে তালা। এভাবে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে যে পরিবেশ প্রয়োজন এবং শিক্ষার্থীদের যে নিরাপত্তা দরকার, তা নিশ্চিতে সরকারকে গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গেল পহেলা জুলাই থেকেই দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর একযোগে কর্মবিরতি। দাবি, সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জীনাত হুদা বলেন, ‘সরকারিভাবে যেভাবে ঘোষণা তা আসলেই আমরা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবো এবং দ্রুত ক্লাসে ফিরবো।’

অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে। সমাবেশ, বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন। এরপর পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে কারফিউ জারি। এমন অবস্থায় বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটকগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষার্থীদের কোলাহল ভেঙে যেন পিনপতন নীরবতা।

বন্ধের সময় দীর্ঘ হলে শিক্ষার্থীদের কতটা ক্ষতি হবে? শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শুধু শিক্ষার্থী নয়, দেশ ও জাতিরও ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করেন সাবেক এই উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র সেখানে যদি আমরা একদিন পিছিয়ে পড়ি তাহলে দেশ বহুদিন পিছিয়ে পড়ে। আমার মনে হয় অতিদ্রুত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক খুলে দেয়া আর কিছুটা সময় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করা দরকার আগে এ বিষয়ে সরকারকে সম্পৃক্ত হবার কথা বলছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, ‘যদি শিক্ষকরা দুই সপ্তাহ ক্লাস না নেই তাহলে এক সেমিস্টার পিছিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এইটা ভয়াবহ একটি ক্ষতি। শিক্ষা কার্যক্রম আমরা যত দ্রুত শুরু করতে পারি সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।’