ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঢামেকে অভিভাবকদের মৌন অবস্থান, পুলিশি বাধার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অভিভাবকদের মৌন অবস্থানে বাধার দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ব্যানারে তারা এখানে দাঁড়াতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারোটায় ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়াতে চাইলে বাধার মুখে পড়েন তারা।

বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, ‘আমরা কোন গাড়ি ভাঙচুর বা কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর জন্য আমরা রাস্তায় দাড়াইনি। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে দাঁড়াতেই দেয়নি। আমরা আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার চাই। যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যাদেরকে আটক করা হয়েছে নিঃশর্তে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। বিনা কারণে যাদের হয়রানি করা হচ্ছে তাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’

এত জায়গা থাকতে ঢাকা মেডিকেলের সামনে আপনারা কেন অবস্থান নিয়েছেন এবং আপনাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে সমস্যা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে সীমা দত্ত বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের সামনে কোনভাবেই পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারে না। আমাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের কোন সমস্যা হয়নি। আপনারা দেখেন এখানে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের কারণে সমস্যা হচ্ছে আমাদের কারণে কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা দেখেছি ১৫ তারিখে এখানে বারবার হামলা হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। এখানে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছিল তারা অসহায় ছিল।’

এদিকে, পুলিশের তৎপরতায় ‘অভিভাবকদের মৌন অবস্থান’ নামে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ব্যানার খুলেই দাঁড়াতে পারেনি তারা। তাদেরকে অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে তারা ঢাকা মেডিকেলে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে যান। খোঁজখবর নেওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তারা হাসপাতাল ত‍্যাগ করেন।

তবে কেন দাঁড়াতে দেয়নি সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের মৌন অবস্থান ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে ও ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢামেকে অভিভাবকদের মৌন অবস্থান, পুলিশি বাধার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:১৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অভিভাবকদের মৌন অবস্থানে বাধার দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ব্যানারে তারা এখানে দাঁড়াতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারোটায় ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়াতে চাইলে বাধার মুখে পড়েন তারা।

বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, ‘আমরা কোন গাড়ি ভাঙচুর বা কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর জন্য আমরা রাস্তায় দাড়াইনি। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে দাঁড়াতেই দেয়নি। আমরা আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার চাই। যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যাদেরকে আটক করা হয়েছে নিঃশর্তে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। বিনা কারণে যাদের হয়রানি করা হচ্ছে তাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’

এত জায়গা থাকতে ঢাকা মেডিকেলের সামনে আপনারা কেন অবস্থান নিয়েছেন এবং আপনাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে সমস্যা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে সীমা দত্ত বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের সামনে কোনভাবেই পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারে না। আমাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের কোন সমস্যা হয়নি। আপনারা দেখেন এখানে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের কারণে সমস্যা হচ্ছে আমাদের কারণে কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা দেখেছি ১৫ তারিখে এখানে বারবার হামলা হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। এখানে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছিল তারা অসহায় ছিল।’

এদিকে, পুলিশের তৎপরতায় ‘অভিভাবকদের মৌন অবস্থান’ নামে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ব্যানার খুলেই দাঁড়াতে পারেনি তারা। তাদেরকে অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে তারা ঢাকা মেডিকেলে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে যান। খোঁজখবর নেওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তারা হাসপাতাল ত‍্যাগ করেন।

তবে কেন দাঁড়াতে দেয়নি সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের মৌন অবস্থান ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে ও ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।