ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘জাতীয় শোক দিবস স্মরণে’ বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা শিক্ষিত জাতি ও অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ে উঠবে আমরা এটাই চাই। তবে এখনও এদের কিছু আবার নতুন করে গড়ে উঠেছে। মানুষের সেবা দেয়ার স্থানগুলোতেই কিন্তু বারবার আঘাত করা হয়েছে। যেখানে দাবি শতভাগ পূরণ হয়ে যাওয়ার পর আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা কী?’

তিনি বলেন, ‘কোটার নাম দিয়ে নাশকতা করা। আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম সাধারণ অভিভাবকদের। কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললাম। সরাসরি তো কোর্ট নিয়ে বলা যায় না। এটা বোঝা উচিত।’

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যতদিন প্রাণ আছে ততদিন মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘সহিংসতার প্রতিটি বিষয়ের তদন্ত চাই। বিশ্বের যে দেশই চাইবে তাদের তদন্ত দল পাঠাতে পারবে।’

স্থাপনা ধ্বংসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্থাপনাগুলো গড়া যাবে কিন্তু মানুষ ফিরবে না। আমরা গড়বো আর এরা ধ্বংস করবে তা হবে না।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হত্যা নিয়েও মিথ্যাচার হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। এই জঙ্গিবাদ দেশের মানসম্মানকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান আর বাংলাদেশে হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমার চলার পথ সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গেছি সেখানে হামলার শিকার হয়েছি।

তিনি বলেন, দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে, তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নিয়েছি। দাবি মানার পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কি যৌক্তিকতা আছে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে অতীতের মতো তাদের ভয়ানক রূপ দেখিয়েছে।

এসময় মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। পরে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘জাতীয় শোক দিবস স্মরণে’ বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা শিক্ষিত জাতি ও অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ে উঠবে আমরা এটাই চাই। তবে এখনও এদের কিছু আবার নতুন করে গড়ে উঠেছে। মানুষের সেবা দেয়ার স্থানগুলোতেই কিন্তু বারবার আঘাত করা হয়েছে। যেখানে দাবি শতভাগ পূরণ হয়ে যাওয়ার পর আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা কী?’

তিনি বলেন, ‘কোটার নাম দিয়ে নাশকতা করা। আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম সাধারণ অভিভাবকদের। কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললাম। সরাসরি তো কোর্ট নিয়ে বলা যায় না। এটা বোঝা উচিত।’

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যতদিন প্রাণ আছে ততদিন মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘সহিংসতার প্রতিটি বিষয়ের তদন্ত চাই। বিশ্বের যে দেশই চাইবে তাদের তদন্ত দল পাঠাতে পারবে।’

স্থাপনা ধ্বংসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্থাপনাগুলো গড়া যাবে কিন্তু মানুষ ফিরবে না। আমরা গড়বো আর এরা ধ্বংস করবে তা হবে না।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হত্যা নিয়েও মিথ্যাচার হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। এই জঙ্গিবাদ দেশের মানসম্মানকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান আর বাংলাদেশে হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমার চলার পথ সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গেছি সেখানে হামলার শিকার হয়েছি।

তিনি বলেন, দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে, তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নিয়েছি। দাবি মানার পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কি যৌক্তিকতা আছে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে অতীতের মতো তাদের ভয়ানক রূপ দেখিয়েছে।

এসময় মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। পরে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।