ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সেই কলেজ শিক্ষার্থীর জামিন

রংপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রংপুরে ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর জামিন পেয়েছে কলেজশিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিম। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখান হয় ১৬ বছর বয়সী এই কলেজশিক্ষার্থীকে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোস্তফা কামাল তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিমের জামিন শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য ছিল। শিশু হওয়ায় আগাম জামিন দেওয়া হয় তাকে। রংপুর নারী শিশু আদালতের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম ও বাহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে থানায় নিয়ে যান। এরপর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখান হয়।

এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) মাহিমের বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর গণমাধ্যমে আলোচিত হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হলে আজ বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বোন সানজানা আখতার লিখেছেন, ‘যে ছেলেটা লিগ্যাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু; তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল। আইডি কার্ড ছিল। সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটেরই ছাত্র। এক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা আটকে রেখেছে, দেখাও করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!’

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসা মাত্রই পুলিশ কমিশনার স্যার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, তাই আদালতের মাধ্যমে তাকে জামিনে ও এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। তাই ওই শিক্ষার্থীকে বিচারক জামিন দিয়েছেন।’

মাহিমের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৪ আগস্ট তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু শিশু হওয়ায় এবং আগাম জামিনের আবেদন করায় আদালত বিষয়টি নজরে নিয়ে জামিন দিয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সেই কলেজ শিক্ষার্থীর জামিন

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর জামিন পেয়েছে কলেজশিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিম। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখান হয় ১৬ বছর বয়সী এই কলেজশিক্ষার্থীকে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোস্তফা কামাল তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিমের জামিন শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য ছিল। শিশু হওয়ায় আগাম জামিন দেওয়া হয় তাকে। রংপুর নারী শিশু আদালতের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম ও বাহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে থানায় নিয়ে যান। এরপর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখান হয়।

এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) মাহিমের বোন সানজানা আখতার স্নেহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর গণমাধ্যমে আলোচিত হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হলে আজ বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বোন সানজানা আখতার লিখেছেন, ‘যে ছেলেটা লিগ্যাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু; তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল। আইডি কার্ড ছিল। সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটেরই ছাত্র। এক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা আটকে রেখেছে, দেখাও করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!’

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) বলেন, ‘১৮ জুলাই যখন থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরা অবস্থায় আটক হয় মাহিম। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসা মাত্রই পুলিশ কমিশনার স্যার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেহেতু মাহিম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না, সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল মাত্র, তাই আদালতের মাধ্যমে তাকে জামিনে ও এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। তাই ওই শিক্ষার্থীকে বিচারক জামিন দিয়েছেন।’

মাহিমের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৪ আগস্ট তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু শিশু হওয়ায় এবং আগাম জামিনের আবেদন করায় আদালত বিষয়টি নজরে নিয়ে জামিন দিয়েছেন।’