১১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল-চিনি-মুরগি, কোনো কিছুতেই স্বস্তি নেই

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে দীর্ঘ সময়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জনজীবনে ফিরতে শুরু করেছে স্থিতিশীলতা। এই অবস্থায় বাজারে অন্যান্য পণ্যের গতি-প্রকৃতি স্বাভাবিক না হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারে যেন আগুন। চাল-চিনি-মুরগি সব কিছুই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। ক্রেতারা বলছেন, নজরদারির অভাবে বাজার লাগামহীন। সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিটি সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে আগের থমথমে পরিস্থিতির রেশ আছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় আবারও বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫৪ ও সরু চাল ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনির দামও বাড়তি। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা ও শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আনাজি কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছুল হক জানান, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা দুইদিন আগেও ছিল ৩০/৪০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকায়, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

তিনি জানান, টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দাম দিনদিন বাড়ছে। আজকের বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার এলে কিছু জিনিসের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। শুক্রবার এলে শসা, টমেটো আর গাজর এই জিনিসগুলোর চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়ে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচের দামও। প্রতি কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহে ঘাটতির কারণেই দাম বৃদ্ধি।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছি ৪০ টাকায়, আজ সেটিই কিনলাম ৬০ টাকায়। সবকিছুর দাম বাড়তি যাচ্ছে, সেখান থেকে আমাদের ছাড় দেয়নি কাঁচা মরিচও। এটারও এখন বাড়তি দাম। আমার তো মনে হচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে এত দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটই দায়ী। তারা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দাম বাড়িয়েছে।

মওদুদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে একটা সবজি নেই ৪০ টাকার মধ্যে। যাই জিজ্ঞেস করি ৬০-৭০ টাকা। অবস্থা এমন হয়েছে যে, চারটা জিনিস কিনতে এসে এখন দুইটি নিয়ে ফিরতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে তো গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।

ক্রেতাদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, আন্দোলনের কয়েক দিন বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। এখন বাজারে সবজি আসতে শুরু করায় দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে। তবে, বিক্রি কম হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস মাছ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাল-চিনি-মুরগি, কোনো কিছুতেই স্বস্তি নেই

আপডেট : ১২:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে দীর্ঘ সময়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জনজীবনে ফিরতে শুরু করেছে স্থিতিশীলতা। এই অবস্থায় বাজারে অন্যান্য পণ্যের গতি-প্রকৃতি স্বাভাবিক না হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারে যেন আগুন। চাল-চিনি-মুরগি সব কিছুই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। ক্রেতারা বলছেন, নজরদারির অভাবে বাজার লাগামহীন। সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিটি সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে আগের থমথমে পরিস্থিতির রেশ আছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় আবারও বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫৪ ও সরু চাল ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনির দামও বাড়তি। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা ও শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আনাজি কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছুল হক জানান, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা দুইদিন আগেও ছিল ৩০/৪০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকায়, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

তিনি জানান, টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দাম দিনদিন বাড়ছে। আজকের বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার এলে কিছু জিনিসের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। শুক্রবার এলে শসা, টমেটো আর গাজর এই জিনিসগুলোর চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়ে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচের দামও। প্রতি কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহে ঘাটতির কারণেই দাম বৃদ্ধি।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৫৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছি ৪০ টাকায়, আজ সেটিই কিনলাম ৬০ টাকায়। সবকিছুর দাম বাড়তি যাচ্ছে, সেখান থেকে আমাদের ছাড় দেয়নি কাঁচা মরিচও। এটারও এখন বাড়তি দাম। আমার তো মনে হচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে এত দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটই দায়ী। তারা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দাম বাড়িয়েছে।

মওদুদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে একটা সবজি নেই ৪০ টাকার মধ্যে। যাই জিজ্ঞেস করি ৬০-৭০ টাকা। অবস্থা এমন হয়েছে যে, চারটা জিনিস কিনতে এসে এখন দুইটি নিয়ে ফিরতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে তো গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।

ক্রেতাদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, আন্দোলনের কয়েক দিন বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। এখন বাজারে সবজি আসতে শুরু করায় দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে। তবে, বিক্রি কম হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের পাঙাস মাছ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা মাছ ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।