০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২২

সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় এ সংষর্ষ হয়।

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে ১৩ পুলিশ সদসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া রায়গঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৬ জন এবং সদরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়।

নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হলো— রায়গঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারোয়ার লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার, সাবেক মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক, শিক্ষার্থী মো. সুমন, যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফ, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জু হোসেন। এদের মধ্যে প্রদীপ কুমার দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক বলে জানা গেছে।

পুলিশ হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি বিজয় সরকার। এ ছাড়া রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আমিরুল ইহসান তৌহিদ বাকি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ‌‌‘প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দল বেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা চলে যায়। পরে কয়েকশ’ মানুষ অতর্কিতে থানায় এসে হামলা চালায়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানার দিকে আসতে থাকে। পরে একত্রিত হয়ে হাজার হাজার আন্দোলনকারী একযোগে থানায় হামলা চালায়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা সেখানে সাংবাদিকসহ আশপাশে কাউকে ভিড়তে দেয়নি। থানায় ঢুকেই তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় পুরো এনায়েতপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২২

আপডেট : ০৮:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, রোববার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় এ সংষর্ষ হয়।

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে ১৩ পুলিশ সদসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া রায়গঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৬ জন এবং সদরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়।

নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হলো— রায়গঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারোয়ার লিটন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার, সাবেক মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক, শিক্ষার্থী মো. সুমন, যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফ, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জু হোসেন। এদের মধ্যে প্রদীপ কুমার দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক বলে জানা গেছে।

পুলিশ হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি বিজয় সরকার। এ ছাড়া রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আমিরুল ইহসান তৌহিদ বাকি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ‌‌‘প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দল বেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা চলে যায়। পরে কয়েকশ’ মানুষ অতর্কিতে থানায় এসে হামলা চালায়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানার দিকে আসতে থাকে। পরে একত্রিত হয়ে হাজার হাজার আন্দোলনকারী একযোগে থানায় হামলা চালায়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা সেখানে সাংবাদিকসহ আশপাশে কাউকে ভিড়তে দেয়নি। থানায় ঢুকেই তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হন। এত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় পুরো এনায়েতপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।