ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের লজ্জার হার
- আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
আজ মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চোখে পড়ল পুরোনো দুর্বলতা। নিউজিল্যান্ডের ২৫৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৪১.১ ওভারে অলআউট ১৬৮ রানে। ফলে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটা মূলত প্রস্তুতির আর বাড়তি কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখার, তবে এমন সিরিজেও ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হার চোখে লাগার মতোই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো শুধু বাংলাদেশই করছে না, নিউজিল্যান্ডও করছে!
দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিনিয়র এই দুই ক্রিকেটার ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। বৃষ্টির চোখ রাঙানি থাকলেও মিরপুরে নির্বিঘ্নে হলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ ছাড়া আর তেমন কেউ ভালো করতে পারেনি।
আগে ব্যাট করতে নেমে ২৫৪ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইশ সোধির স্পিন ভেল্কিতে ৪১.১ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানেই লিটন দাসের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। জেমিসনের বলে রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ৬ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অপর প্রান্তে দীর্ঘ ৮০ দিন পর মাঠে ফেরা তামিম ইকবাল ছিলেন বেশ ছন্দে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ইশ সোধির বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১২ বলে তার রান ১৬।
সোধির একই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরে টাইগার ভক্তদের হতাশ করেন প্রায় দুই বছর পর দলে ফেরা সৌম্য সরকার। সোধির বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বা হাতি এই ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে তামিম ও হৃদয়ের উপর ভরসা ছিল অনেকের। কিন্তু তা হয়নি। তরুণ তানজিদের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম। হৃদয়ের সঙ্গে হলো মাত্র ১০ রানের। সোধির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয় সাত বলে মাত্র চার রান করে।
৭০ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন বেশ চাপে। ফিফটির দিকে ধাবমান তামিম হতাশ করেছেন শেষ দিকে। নিজে ফিফটি পাননি, দলকে রেখে আসেন বিপদে। দলীয় স্কোর যখন ৯২, তামিমের রান তখন ৪৪। সোধির বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাবেক এই অধিনায়ক। ৫৮ বলের ইনিংসে তামিম হাঁকান সাতটি চার।
তামিমের বিদায়ের পর বড় ভরসার জায়গায় ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ মেহেদী হাসানের জুটি। এই জুটি ভালোও করছিল। কিন্তু সেই সোধির আবার আঘাত। বোল্ড করে দেন ২৯ বলে ১৭ রান করা মেহেদীকে। এই জুটিতে আসে ৬৩ বলে ৪২ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাচ উইকেট পেলেন সোধি।
মেহেদীর বিদায়ের পর স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এক রানের জন্য পাননি তিনি অর্ধশতক। চাইলে এ বলটিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতেই পারতেন মাহমুদউল্লাহ। ছেড়ে দিলে নিশ্চিত ওয়াইড হতো। অথচ পার্ট টাইমার কোল ম্যাকনকির সে বলটি মাহমুদউল্লাহ মারলেন সরাসরি ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতে! সেটিও আবার ৪৯ রানে দাঁড়িয়ে থেকে। ৭৬ বলের ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ হাকান চারটি চার ও এক ছক্কা।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পরই বাংলাদেশের পরাজয় ছিল যেন সময়ে ব্যাপার মাত্র। লেজের সারির ব্যাটাররা বড় কোন চমক উপহার দিতে না পারায় বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। হাসানকে শূন্য রানে ফিরিয়ে নিজের ষষ্ঠ উইকেট নেন সোধি। ৩০ বলে ২১ রান করা নাসুমকে ফেরান জেমিসন।
আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর মিরপুরে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।