ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কথা বলবেন, কিন্তু হত্যাকারীর সঙ্গে নয়: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবেন, কিন্তু কোনো হত্যাকারীর সঙ্গে নয়।’

সোমবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, যারা শিশুদের হত্যা করেছে, যারা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আছে এবং এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিতে গেলে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগীতা করব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত থেকে ছাত্র-জনতার বিজয়কে ধ্বংস করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে অপপ্রচার করছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক, এত হত্যা, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন এবং এতগুলো ছাত্রকে হত্যা করার পরেও সেই দলটি আবারও বিভিন্ন রকমভাবে কথা বলছে, যা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি এই সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। আমরা আগেও বলেছি যে, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবেই। আমরা তাদের সেই সময়টুকু অবশ্যই দিয়েছি এবং আমরা তাদের সব বিষয়গুলোতে সমর্থন দিচ্ছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িকতার যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এগুলোতে যেন জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। জনগণ যেন পূর্বের মতো সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অক্ষুন্ন রেখে, জনগণের নিরাপত্তাকে অক্ষুন্ন রেখে তারা যেন এই সরকার সহযোগিতা করে। আমরাও পুরোপুরিভাবে তাদেরকে (সরকারকে) সহযোগিতা করছি।’

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বহনকারী গাড়ি যমুনায় প্রবেশ করতে শুরু করে। ৩টা ৪৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বহন করা প্রাইভেটকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে। বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কথা বলবেন, কিন্তু হত্যাকারীর সঙ্গে নয়: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবেন, কিন্তু কোনো হত্যাকারীর সঙ্গে নয়।’

সোমবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, যারা শিশুদের হত্যা করেছে, যারা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আছে এবং এ ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ নিতে গেলে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগীতা করব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত থেকে ছাত্র-জনতার বিজয়কে ধ্বংস করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে অপপ্রচার করছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক, এত হত্যা, এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন এবং এতগুলো ছাত্রকে হত্যা করার পরেও সেই দলটি আবারও বিভিন্ন রকমভাবে কথা বলছে, যা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি এই সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। আমরা আগেও বলেছি যে, নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবেই। আমরা তাদের সেই সময়টুকু অবশ্যই দিয়েছি এবং আমরা তাদের সব বিষয়গুলোতে সমর্থন দিচ্ছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িকতার যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এগুলোতে যেন জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। জনগণ যেন পূর্বের মতো সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অক্ষুন্ন রেখে, জনগণের নিরাপত্তাকে অক্ষুন্ন রেখে তারা যেন এই সরকার সহযোগিতা করে। আমরাও পুরোপুরিভাবে তাদেরকে (সরকারকে) সহযোগিতা করছি।’

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বহনকারী গাড়ি যমুনায় প্রবেশ করতে শুরু করে। ৩টা ৪৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বহন করা প্রাইভেটকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে। বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।