০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ স্কর্ট পেলেন খালেদা জিয়া

গুলশানের বাসভবন ও চলাচলের সময় সার্বিক নিরাপত্তাসহ পুলিশ স্কর্ট সুবিধা পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমানে অবস্থানকালীন, গুলশানস্থ বাসভবন ও চলাচলের নিমিত্ত পুলিশ স্কর্ট বরাদ্দসহ যথোপযুক্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয়। তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরদিনই বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট এই মামলায় পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর তাঁর আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর তাঁর শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাঁকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তাঁর কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ায় সরকার। তবে তার প্রকাশ্যে রাজনীতি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।

পুলিশ স্কর্ট পেলেন খালেদা জিয়া

আপডেট : ১১:০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

গুলশানের বাসভবন ও চলাচলের সময় সার্বিক নিরাপত্তাসহ পুলিশ স্কর্ট সুবিধা পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমানে অবস্থানকালীন, গুলশানস্থ বাসভবন ও চলাচলের নিমিত্ত পুলিশ স্কর্ট বরাদ্দসহ যথোপযুক্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয়। তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরদিনই বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট এই মামলায় পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর তাঁর আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর তাঁর শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন।

এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাঁকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তাঁর কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ায় সরকার। তবে তার প্রকাশ্যে রাজনীতি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।