আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
- আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। আজ (বুধবার) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নেতা রাশেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নুর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণঅধিকার পরিষদ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে।
সকল জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও উপজেলা/থানায় নতুন ওসি নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় ডিআইজিসহ দাবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনাতে হবে।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধন পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কোনো সদস্যদের বিরুদ্ধে যে কোনো অসদাচরণ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নুর আরো বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা জরুরি। বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিতে হবে।
এদিকে, বিবৃতিতে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ আট দফা প্রস্তাবনা উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদ।
প্রস্তাবনাগুলো হলো—
১. ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা।
২. সব জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও উপজেলা/থানায় নতুন ওসি নিয়োগ।
৩. স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম, বিভাগীয় ডিআইজিসহ দলবাজ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা।
৪. চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রুত সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ।
৫. পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৬. পুলিশের কোনো সদস্যদের বিরুদ্ধে যেকোনো অসদাচরণ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭. বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়াসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা।
৮. বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া।