শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগ আনা নিহত সিয়ামের বাবার আইনজীবী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সিয়ামের বাবার আইনজীবী বলেন, বুধবার রাতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে অভিযোগ রেজিস্ট্রার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত সংস্থা। সাত দিনের দিনের মধ্যে এই তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন অভিযোগকারীদের জানানো হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে। বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন। আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অপরাধের ধরনের বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অপরাধ।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর অনেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতারা দেশ ছাড়েন। এছাড়া অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। আবার কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি প্রশাসনের হাতে আটক হয়েছেন। এখন সর্বত্রই আওয়াজ ওঠেছে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।