১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ : মুখপাত্র

জাতিসংঘ বলেছে, তারা প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থন দিতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নিউইয়র্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে সবাইকে উত্সাহিত করি। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাই যাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে জড়িত কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে।’

বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতির সমর্থনে জাতিসংঘ মহাসচিব আরও ব্যবস্থা নেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘আমি অবশ্যই নিশ্চিত করতে পারি, আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’

এদিক, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারকে ও (গণতান্ত্রিক) উত্তরণের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ‘বিস্তৃত পরিসরে সহায়তা’ দিতে আলোচনা করেছেন।

মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য সহায়তার ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে।

ফারহান হক আরও বলেন, হাইকমিশনার (ভলকার তুর্ক) একটি সফল উত্তরণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সহায়তা করার জন্য অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৈঠকের পর গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কয়েকজন টেকনিক্যাল সহকর্মী আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন। তারা প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান করবেন। তবে আদেশ, বিশদ বিবরণ এবং কীভাবে দলটি সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, এই সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় প্রায়ই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ সনদে নিরাপত্তা পরিষদকে তদন্ত ও মধ্যস্থতা, মিশন প্রেরণ, বিশেষ দূত নিয়োগ বা মহাসচিবকে তার অফিস ব্যবহারের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ : মুখপাত্র

আপডেট : ০২:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

জাতিসংঘ বলেছে, তারা প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থন দিতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নিউইয়র্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে সবাইকে উত্সাহিত করি। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাই যাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে জড়িত কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে।’

বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতির সমর্থনে জাতিসংঘ মহাসচিব আরও ব্যবস্থা নেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘আমি অবশ্যই নিশ্চিত করতে পারি, আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’

এদিক, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারকে ও (গণতান্ত্রিক) উত্তরণের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ‘বিস্তৃত পরিসরে সহায়তা’ দিতে আলোচনা করেছেন।

মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য সহায়তার ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে।

ফারহান হক আরও বলেন, হাইকমিশনার (ভলকার তুর্ক) একটি সফল উত্তরণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সহায়তা করার জন্য অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৈঠকের পর গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কয়েকজন টেকনিক্যাল সহকর্মী আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন। তারা প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান করবেন। তবে আদেশ, বিশদ বিবরণ এবং কীভাবে দলটি সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, এই সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় প্রায়ই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ সনদে নিরাপত্তা পরিষদকে তদন্ত ও মধ্যস্থতা, মিশন প্রেরণ, বিশেষ দূত নিয়োগ বা মহাসচিবকে তার অফিস ব্যবহারের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।