ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান নেতানিয়াহুর
- আপডেট সময় : ০১:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হামাসকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় বাধা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন এবং এই সপ্তাহের শেষে নতুন আলোচনা শুরুর আগে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
রোববার (১৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। তিনি একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সফর করছেন, যা একটি বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে সহায়ক হতে পারে।
গতবছর অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে এটি ব্লিনকেনের নবম সফর। গাজায় যুদ্ধবিরতি করা নিয়ে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি সংশোধিত প্রস্তাত উপস্থাপন করার কয়েকদিন পর ব্লিনকেন এই সফরে গেলেন।
ব্লিনকেনের সফরসঙ্গী এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক সোমবার ইসরায়েলের নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করবেন। এরপর মঙ্গলবার মিসরে যাত্রা করবেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
নেতানিয়াহু এ দিন জেরুজালেমে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নবনিযুক্ত হামাসপ্রধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই মুহূর্ত পর্যন্ত হামাস অটল রয়েছে। তারা দোহা আলোচনায় কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। সুতরাং হামাস ও (ইয়াহিয়া) সিনওয়ারের ওপরই চাপ পড়া উচিত, ইসরায়েলি সরকারের ওপর নয়। ’
অন্যদিকে ইসরায়েলি মিত্র জর্দান, ইসরায়েলে প্রতিবাদকারী জিম্মিদের সমর্থক এবং হামাস নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো যায়।
হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, হামাস দোহা আলোচনায় অংশ নেবে বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, হামাসের ইতোমধ্যে সম্মত বিষয়ে বাস্তবায়নের একটি সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। পরে সেই এ আলোচনা বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি হামাস ইসরায়েলের নতুন শর্তগুলোর বিরোধিতার কথাও জানিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভায় বলেছেন, ‘আমরা এমন আলোচনার পথে নেই যেখানে শুধু দিয়ে যাচ্ছি। কিছু বিষয় আছে যেখানে আমরা নমনীয় হতে পারি, আর কিছু বিষয় আছে যেখানে আমরা নমনীয় হতে পারি না, যার ওপর আমরা জোর দিব। ’
জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য ‘বিশাল প্রচেষ্টা’ চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই নীতিগুলোকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। ’ একইসঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে হামাসের ওপর ‘শক্তিশালী সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানান।