খালেদাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে পাঠাতে হবে: ফখরুল
- আপডেট সময় : ০৩:২২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
এতে বিএনপি নেতাদের দাবি, এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেন। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার জীবনের ক্ষতি হলে বিএনপির বা তার পরিবারের চেয়ে দেশের বেশি ক্ষতি হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশের বাইরে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে প্রধানমন্ত্রী ওনাকে বাসায় থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ওনাকে (খালেদা) বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে হয়তো আইনগত জটিলতা আছে। আদালতের নির্দেশনার বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার সুযোগ নেই।’
ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এর আগেও চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তাঁর। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপিনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ। সমাবেশে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপিনেতা নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।