ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৬৫ সাবেক মন্ত্রী-এমপির অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অঢেল অবৈধ সম্পদ আর দুর্নীতির নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। গেল ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এরা বিপুল সম্পদ গড়েছেন। এরমধ্যে ৬৫ সাবেক মন্ত্রী ও এমপির অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকে এ সংক্রান্ত অভিযোগের পাহাড় জমছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তথ্য। গত ১৫ বছরে নজিরবিহীন দুর্নীতি করে তাদের কারও কারও সম্পদ বেড়েছে আড়াই লাখ গুণ পর্যন্ত।

আয় বৃদ্ধির শীষে থাকা সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আছেন- টিপু মুনশী, ডাক্তার জাহিদ মালেক, নসরুল হামিদ, দিপু মনি, এনামুর রহমান। গত ৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষে আছেন, সাবেক আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাধনচন্দ্র মজুমদার, ইমরান আহমেদ। গত ১৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষে আছেন, সাবেক মন্ত্রী জাকির হোসেন, গোলাম দস্তগীর গাজী, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল। সাবেক এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের অস্থাপবর সম্পদ বৃদ্ধির হার অকল্পনীয়। গত ১৫ বছরে তার অস্থাপবর সম্পদ বেড়েছে আড়াই লাখ গুন।

গত নির্বাচনের হলফনামা ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য ধরে সদ্য সাবেক ২৫ মন্ত্রী ও ৪০ জন সাবেক এমপির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারোয়ার হোসেন। দুদক এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনী হলফনামা ধরে মন্ত্রী-এমপিদের অকল্পনীয় সম্পদ করার তদন্ত দুদক ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাও করতে পারে।

বিগত সরকারের একাধিক এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬৫ সাবেক মন্ত্রী-এমপির অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অঢেল অবৈধ সম্পদ আর দুর্নীতির নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। গেল ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এরা বিপুল সম্পদ গড়েছেন। এরমধ্যে ৬৫ সাবেক মন্ত্রী ও এমপির অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকে এ সংক্রান্ত অভিযোগের পাহাড় জমছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তথ্য। গত ১৫ বছরে নজিরবিহীন দুর্নীতি করে তাদের কারও কারও সম্পদ বেড়েছে আড়াই লাখ গুণ পর্যন্ত।

আয় বৃদ্ধির শীষে থাকা সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আছেন- টিপু মুনশী, ডাক্তার জাহিদ মালেক, নসরুল হামিদ, দিপু মনি, এনামুর রহমান। গত ৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষে আছেন, সাবেক আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাধনচন্দ্র মজুমদার, ইমরান আহমেদ। গত ১৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষে আছেন, সাবেক মন্ত্রী জাকির হোসেন, গোলাম দস্তগীর গাজী, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল। সাবেক এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের অস্থাপবর সম্পদ বৃদ্ধির হার অকল্পনীয়। গত ১৫ বছরে তার অস্থাপবর সম্পদ বেড়েছে আড়াই লাখ গুন।

গত নির্বাচনের হলফনামা ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথ্য ধরে সদ্য সাবেক ২৫ মন্ত্রী ও ৪০ জন সাবেক এমপির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারোয়ার হোসেন। দুদক এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনী হলফনামা ধরে মন্ত্রী-এমপিদের অকল্পনীয় সম্পদ করার তদন্ত দুদক ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাও করতে পারে।

বিগত সরকারের একাধিক এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।