ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চীনে কেন ফাঁকা লাখ লাখ বাড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীনে বিক্রির অভাবে ফাঁকা পড়ে রয়েছে লাখ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট। এমনকি দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যা থাকার পরও অনেক অ্যাপার্টমেন্ট খালি থেকে যাবে। গত শনিবার দেশটির সংকটে থাকা আবাসন খাত নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।

সিএনএন জানায়, চীনা অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবাসন খাত ২০২১ সালের পর থেকেই লোকসান দেখছে। রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপসহ অন্যান্য সংস্থার লাগাতার ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সংকটের অন্যতম কারণ। সবশেষ কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ধস এ খাতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে।

সংস্থাগুলোর ঋণ আবাসন খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে ক্রেতারাও নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে বিক্রি না হওয়া, খালি পড়ে থাকা ও ইনস্টটলমেন্ট আটকে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল নাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের শেষ পর্যন্ত বিক্রি না হওয়া বাড়ির মোট ফ্লোরের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি বর্গফুট। আকার গড়ে ৯৭০ বর্গফুট ধরলে বিক্রি না হওয়া বাড়ির সংখ্যা হবে ৭২ লাখ। যেসব বাড়ি এর মধ্যেই বিক্রি হয়েছে সেগুলো গণনাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যানে কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ঋণ এখনো পরিশোধ হয়নি।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক উপ-প্রধান হে কেং বলেন, ‘এখন কি পরিমাণ খালি বাড়ি আছে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলাদা আলাদা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্যটি হলো, বর্তমানে খালি থাকা বাড়ি ৩০০ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট।’

সম্প্রতি মিডিয়া চায়না নিউজ সার্ভিস দক্ষিণ চীনে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ৮১ বছর বয়সী হে কেংয়ের আগের কথার সূত্র ধরে বলতে শোনা যায়, এ অনুমান কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সম্ভবত ১৪০ কোটি মানুষও খালি থাকা বাড়িগুলো ভর্তি করতে পারবেন না।

আবাসন খাত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে সরকারি বক্তব্যের বিপরীত। সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, চীনের অর্থনৈতিক সংকটের ভবিষ্যদ্বাণী প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। তবে অর্থনীতি ধসে পড়ছে এ ধরনের তথ্য অতিকথন ছাড়া কিছুই না।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনে কেন ফাঁকা লাখ লাখ বাড়ি

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চীনে বিক্রির অভাবে ফাঁকা পড়ে রয়েছে লাখ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট। এমনকি দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যা থাকার পরও অনেক অ্যাপার্টমেন্ট খালি থেকে যাবে। গত শনিবার দেশটির সংকটে থাকা আবাসন খাত নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।

সিএনএন জানায়, চীনা অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবাসন খাত ২০২১ সালের পর থেকেই লোকসান দেখছে। রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপসহ অন্যান্য সংস্থার লাগাতার ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সংকটের অন্যতম কারণ। সবশেষ কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ধস এ খাতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে।

সংস্থাগুলোর ঋণ আবাসন খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে ক্রেতারাও নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে বিক্রি না হওয়া, খালি পড়ে থাকা ও ইনস্টটলমেন্ট আটকে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল নাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের শেষ পর্যন্ত বিক্রি না হওয়া বাড়ির মোট ফ্লোরের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি বর্গফুট। আকার গড়ে ৯৭০ বর্গফুট ধরলে বিক্রি না হওয়া বাড়ির সংখ্যা হবে ৭২ লাখ। যেসব বাড়ি এর মধ্যেই বিক্রি হয়েছে সেগুলো গণনাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যানে কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ঋণ এখনো পরিশোধ হয়নি।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক উপ-প্রধান হে কেং বলেন, ‘এখন কি পরিমাণ খালি বাড়ি আছে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলাদা আলাদা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্যটি হলো, বর্তমানে খালি থাকা বাড়ি ৩০০ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট।’

সম্প্রতি মিডিয়া চায়না নিউজ সার্ভিস দক্ষিণ চীনে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ৮১ বছর বয়সী হে কেংয়ের আগের কথার সূত্র ধরে বলতে শোনা যায়, এ অনুমান কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সম্ভবত ১৪০ কোটি মানুষও খালি থাকা বাড়িগুলো ভর্তি করতে পারবেন না।

আবাসন খাত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে সরকারি বক্তব্যের বিপরীত। সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, চীনের অর্থনৈতিক সংকটের ভবিষ্যদ্বাণী প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। তবে অর্থনীতি ধসে পড়ছে এ ধরনের তথ্য অতিকথন ছাড়া কিছুই না।