ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জটিল প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে গ্রহাণুর ধুলা দিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাত বছর আগে শুরু করা অভিযান শেষে বেন্নু গ্রহাণুর নমুনা নিয়ে সফলভাবে পৃথিবীতে এসেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি যান। ওসাইরিস-রেক্স নামের যানটির বিশেষ ক্যাপসুল ২৫০ গ্রাম ধুলা নিয়ে গতকাল রোববার আমেরিকার ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের মরুভূমিতে নেমে আসে।

বিবিসি জানায়, এ পর্যন্ত মহাকাশের কোনো গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা এটাই সবচেয়ে বড় নমুনা। আর নাসার ক্ষেত্রে প্রথম কোনো গ্রহাণুর নমুনা সংগ্রহের ঘটনা। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাই একে খুব বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক্যাপসুলটি অবতরণের পর তা নিরাপত্তা আবরণে মোড়ানো হয়। এর ভেতরের উপাদান পরীক্ষা করা হবে টেক্সাসে নাসার স্পেস সেন্টারে। আজ সোমবার উড়োজাহাজে করে ক্যাপসুলটি টেক্সাসে নেওয়া হবে। নাসা ধুলা পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল জানাবে ১১ অক্টোবর।

যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহাণুর নমুনা
পৃথিবীর সবথেকে কাছে থাকা একটি গ্রহাণু বেন্নু। গত কয়েক বছরের গবেষণায় জানা গেছে, বেন্নুর পৃষ্ঠের কঠিন রূপ গড়ে উঠেছে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর সাহায্যে। যা প্রাণের উৎসের অন্যতম কারণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের উৎস কী, সেই প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে এ নমুনা থেকে। পৃথিবী ও সৌরজগত কিভাবে গঠিত হলো, কেন এটি প্রাণের বসবাসযোগ্য, বায়ু বা মহাসাগরের পানি কোথা থেকে এলো এবং সর্বোপরি পৃথিবীর সব প্রাণ গঠনেই প্রয়োজনীয় জৈব অণুর উৎস কী—এসব জটিল প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে এই গ্রহাণুর নমুনা থেকে।

বেন্নুতে পানির পরিমাণ হতে পারে এর ওজনের ১০ শতাংশ। দেখা হবে ওই পানির হাইড্রোজেন অণুর অনুপাত পৃথিবীর সাগরের মতো কিনা। শুরুর দিকের অতি তাপের জন্য পৃথিবীর বেশির ভাগ পানি শুকিয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বেন্নু ও পৃথিবীর পানির ধরন এক হলে এ ধারণা জোরদার হবে যে সুদূর অতীতে আছড়ে পড়া গ্রহাণুই পৃথিবীর পানির উৎস। বেন্নুতে এর ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ কার্বনও আছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণু বেন্নু
বেন্নু প্রতি ছয় বছরে একবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে। গ্রহাণুটি আমেরিকার নিউইয়র্কের সুউচ্চ এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের উচ্চতার (৪৪৩ মিটার) চেয়েও বড়। আগামী শতাব্দীর শেষ দিকে এর পৃথিবীতে আঘাত হানার একটি আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

জটিল প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে গ্রহাণুর ধুলা দিয়ে

আপডেট সময় : ০৭:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাত বছর আগে শুরু করা অভিযান শেষে বেন্নু গ্রহাণুর নমুনা নিয়ে সফলভাবে পৃথিবীতে এসেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি যান। ওসাইরিস-রেক্স নামের যানটির বিশেষ ক্যাপসুল ২৫০ গ্রাম ধুলা নিয়ে গতকাল রোববার আমেরিকার ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের মরুভূমিতে নেমে আসে।

বিবিসি জানায়, এ পর্যন্ত মহাকাশের কোনো গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা এটাই সবচেয়ে বড় নমুনা। আর নাসার ক্ষেত্রে প্রথম কোনো গ্রহাণুর নমুনা সংগ্রহের ঘটনা। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাই একে খুব বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক্যাপসুলটি অবতরণের পর তা নিরাপত্তা আবরণে মোড়ানো হয়। এর ভেতরের উপাদান পরীক্ষা করা হবে টেক্সাসে নাসার স্পেস সেন্টারে। আজ সোমবার উড়োজাহাজে করে ক্যাপসুলটি টেক্সাসে নেওয়া হবে। নাসা ধুলা পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল জানাবে ১১ অক্টোবর।

যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহাণুর নমুনা
পৃথিবীর সবথেকে কাছে থাকা একটি গ্রহাণু বেন্নু। গত কয়েক বছরের গবেষণায় জানা গেছে, বেন্নুর পৃষ্ঠের কঠিন রূপ গড়ে উঠেছে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর সাহায্যে। যা প্রাণের উৎসের অন্যতম কারণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের উৎস কী, সেই প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে এ নমুনা থেকে। পৃথিবী ও সৌরজগত কিভাবে গঠিত হলো, কেন এটি প্রাণের বসবাসযোগ্য, বায়ু বা মহাসাগরের পানি কোথা থেকে এলো এবং সর্বোপরি পৃথিবীর সব প্রাণ গঠনেই প্রয়োজনীয় জৈব অণুর উৎস কী—এসব জটিল প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে এই গ্রহাণুর নমুনা থেকে।

বেন্নুতে পানির পরিমাণ হতে পারে এর ওজনের ১০ শতাংশ। দেখা হবে ওই পানির হাইড্রোজেন অণুর অনুপাত পৃথিবীর সাগরের মতো কিনা। শুরুর দিকের অতি তাপের জন্য পৃথিবীর বেশির ভাগ পানি শুকিয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বেন্নু ও পৃথিবীর পানির ধরন এক হলে এ ধারণা জোরদার হবে যে সুদূর অতীতে আছড়ে পড়া গ্রহাণুই পৃথিবীর পানির উৎস। বেন্নুতে এর ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশ কার্বনও আছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণু বেন্নু
বেন্নু প্রতি ছয় বছরে একবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে। গ্রহাণুটি আমেরিকার নিউইয়র্কের সুউচ্চ এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের উচ্চতার (৪৪৩ মিটার) চেয়েও বড়। আগামী শতাব্দীর শেষ দিকে এর পৃথিবীতে আঘাত হানার একটি আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।