১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইজার থেকে সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স

আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফরাসি সেনাসদস্য ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করবেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই মাসের মাথায় ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘নাইজার থেকে ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন। আমরা নাইজারে সামরিক সহযোগিতাও বন্ধ করে দিচ্ছি। আগামী মাসে ফরাসি সৈন্যরাও দেশে ফিরে আসবে।’

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নাইজারের সামরিক জান্তা। এক বিবৃতিতে দেশটির জান্তা সরকার বলেছে, ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নাইজারের সার্বভৌমত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক নতুন পদক্ষেপ।

গত জুলাইয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নাইজারের সেনাবাহিনী। দেশটিতে নিয়মিত সেনাবাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সৈন্য রয়েছে। ফরাসি এসব সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক মাস ধরেই নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে বিক্ষোভ করছিল সাধারণ মানুষ।

নাইজারের বৃহত্তম সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। গতকাল রোববার ফ্রান্সের স্থানীয় টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘আমি এখনও নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকেই দেশটির একমাত্র বৈধ সরকার প্রধান হিসেবে মনে করি। সামরিক জান্তা অবৈধভাবে তাঁকে জিম্মি করে রেখেছে।’

নাইজার পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি সাবেক ফরাসি উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি। বুর্কিনা ফাসো, গিনি, মালি, চাদ ও গ্যাবনের মতো সম্প্রতি নাইজারেও সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে।

গত কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার এ অঞ্চলে ফরাসিবিরোধী বিক্ষোভ বিকশিত হয়েছে। স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ অভিযোগ করে বলেছে, ফ্রান্স নব্য ঔপনিবেশিক হয়ে উঠেছে। ফরাসি সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নাইজার থেকে সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স

আপডেট : ০৭:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফরাসি সেনাসদস্য ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করবেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই মাসের মাথায় ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘নাইজার থেকে ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন। আমরা নাইজারে সামরিক সহযোগিতাও বন্ধ করে দিচ্ছি। আগামী মাসে ফরাসি সৈন্যরাও দেশে ফিরে আসবে।’

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নাইজারের সামরিক জান্তা। এক বিবৃতিতে দেশটির জান্তা সরকার বলেছে, ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নাইজারের সার্বভৌমত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক নতুন পদক্ষেপ।

গত জুলাইয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নাইজারের সেনাবাহিনী। দেশটিতে নিয়মিত সেনাবাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সৈন্য রয়েছে। ফরাসি এসব সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক মাস ধরেই নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে বিক্ষোভ করছিল সাধারণ মানুষ।

নাইজারের বৃহত্তম সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। গতকাল রোববার ফ্রান্সের স্থানীয় টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘আমি এখনও নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকেই দেশটির একমাত্র বৈধ সরকার প্রধান হিসেবে মনে করি। সামরিক জান্তা অবৈধভাবে তাঁকে জিম্মি করে রেখেছে।’

নাইজার পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি সাবেক ফরাসি উপনিবেশগুলোর মধ্যে একটি। বুর্কিনা ফাসো, গিনি, মালি, চাদ ও গ্যাবনের মতো সম্প্রতি নাইজারেও সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে।

গত কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার এ অঞ্চলে ফরাসিবিরোধী বিক্ষোভ বিকশিত হয়েছে। স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ অভিযোগ করে বলেছে, ফ্রান্স নব্য ঔপনিবেশিক হয়ে উঠেছে। ফরাসি সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।