ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যায়ল (ইউএনডিআরআর)। সংস্থাটি আসন্ন দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (এপিএমসিডিআরআর)–এর ঘোষণা দেন ইউএনডিআরআর–এর প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভাল্টা।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তোসকানো-রিভাল্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার সতর্ক বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাসের সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক নামের যে চুক্তি করেছিলাম, তা থেকে এরই মধ্যে আমরা অনেকটাই সরে এসেছি। আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’

সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন হল একটি বৈশ্বিক চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের দেশগুলো দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।

আগামী অক্টোবরে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের ৬২টি দেশের অন্তত ২ হাজার ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলেন রিভাল্টা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপগুলো দ্বিগুণ হওয়া দরকার।’

জাতিসংঘ প্রত্যাশা করছে, এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ কর্মসূচিতে নেতৃত্বের জায়গায় থাকবে ফিলিপাইন। এই প্রত্যাশার পক্ষ যুক্তিও তুলে ধরেন তোসকানো-রিভাল্টা। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন একটি মডেল। ফিলিপাইন দেখিয়েছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ইস্যুতে কীভাবে সরকার, স্থানীয় সরকার, সিভিল সোসাইটি, বিজ্ঞান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত এবং স্থানীয় কমিউনিটিকে সংযুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত করা যায়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যায়ল (ইউএনডিআরআর)। সংস্থাটি আসন্ন দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (এপিএমসিডিআরআর)–এর ঘোষণা দেন ইউএনডিআরআর–এর প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভাল্টা।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তোসকানো-রিভাল্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার সতর্ক বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাসের সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক নামের যে চুক্তি করেছিলাম, তা থেকে এরই মধ্যে আমরা অনেকটাই সরে এসেছি। আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’

সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন হল একটি বৈশ্বিক চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের দেশগুলো দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।

আগামী অক্টোবরে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের ৬২টি দেশের অন্তত ২ হাজার ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলেন রিভাল্টা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপগুলো দ্বিগুণ হওয়া দরকার।’

জাতিসংঘ প্রত্যাশা করছে, এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ কর্মসূচিতে নেতৃত্বের জায়গায় থাকবে ফিলিপাইন। এই প্রত্যাশার পক্ষ যুক্তিও তুলে ধরেন তোসকানো-রিভাল্টা। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন একটি মডেল। ফিলিপাইন দেখিয়েছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ইস্যুতে কীভাবে সরকার, স্থানীয় সরকার, সিভিল সোসাইটি, বিজ্ঞান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত এবং স্থানীয় কমিউনিটিকে সংযুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত করা যায়।’