০৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বন্যা মোকাবেলায় সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করবে’

কোথাও ত্রাণ যাচ্ছে, কোথাও যাচ্ছে না। এজন্য প্রয়োজন অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করবে। অন্যদিকে ডিজেলের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার চালুর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বন্যার পানিতে ভাসছে কয়েকটি জেলা৷ চরমভাবে জীবন সংকটের মুখে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্য, খাদ্য কিংবা বাসস্থান- এমনকি সুপেয় পানির সংকটসহ সব ধরনের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দিশেহারা বানভাসী মানুষ। ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের উদ্যোগে এই সংকট মোকাবিলায় চলছে সমন্বিত প্রচেষ্টা। ঠিক এমন একটি সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডাক পড়েছে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর।

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ৪৪টি উন্নয়ন সংস্থা শনিবার (২৪ আগস্ট) বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে যোগ দেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গণস্বাক্ষর অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাকের কর্মকর্তা আসিফ সালেহসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কর্তাব্যক্তিরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে ব্রাক কর্মকর্তা আসিফ সালেহ বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে সব পক্ষ মিলে সমন্বিত কাজ করার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে পানি নেমে যাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য এবং খাবারের যে সংকট দেখা যাবে সে জায়গাগুলোতে আমরা কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রথমত সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের একসাথে কাজ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের দুর্যোগে আমরা সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি এবং তার কিছু কর্মপন্থা আমরা আলোচনা করলাম।’

তিনি জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। দেশি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা মিলে এই তহবিল গঠন করা হবে।

আসিফ সালেহ বলেন, ‘রিলিফ এবং রিহ্যাবুলেশনের জন্য একটা ব্যাপক অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। ডোনারদের সাথে সমন্বয় করার একটা সুযোগ আছে। সেটা যদি আমরা সমন্বিতভাবে এনজিও সেক্টর, এমএফআই সেক্টর এবং সরকারি সেক্টর একইসাথে যাই, আর সে জায়গাতেও কাজের ক্ষেত্রে আমরা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের কথা বলছি। সেভাবে আমরা আগাতে পারলে কাজগুলোতে সমন্বয় অনেক বেশি হবে বলে আমরা মনে করি।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ডিজেলের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার চালুর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘কমিউনিকেশনের ব্যাপারে আর্মি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সাথে কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ডিজেল পাঠিয়ে টাওয়ারগুলোকে যেন চালু করা যায়। যত দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায়।’

তিনি আরও জানান, সমন্বিতভাবে বন্যা মোকাবেলায় কাজ করবে উন্নয়ন সংস্থাগুলো। কোথাও ত্রাণ যাচ্ছে, কোথাও যাচ্ছে না। এটাও সমন্বয় করা হবে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

‘বন্যা মোকাবেলায় সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করবে’

আপডেট : ১১:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

কোথাও ত্রাণ যাচ্ছে, কোথাও যাচ্ছে না। এজন্য প্রয়োজন অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করবে। অন্যদিকে ডিজেলের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার চালুর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বন্যার পানিতে ভাসছে কয়েকটি জেলা৷ চরমভাবে জীবন সংকটের মুখে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্য, খাদ্য কিংবা বাসস্থান- এমনকি সুপেয় পানির সংকটসহ সব ধরনের পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দিশেহারা বানভাসী মানুষ। ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের উদ্যোগে এই সংকট মোকাবিলায় চলছে সমন্বিত প্রচেষ্টা। ঠিক এমন একটি সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডাক পড়েছে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর।

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ৪৪টি উন্নয়ন সংস্থা শনিবার (২৪ আগস্ট) বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে যোগ দেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গণস্বাক্ষর অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাকের কর্মকর্তা আসিফ সালেহসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কর্তাব্যক্তিরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে ব্রাক কর্মকর্তা আসিফ সালেহ বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে সব পক্ষ মিলে সমন্বিত কাজ করার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে পানি নেমে যাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য এবং খাবারের যে সংকট দেখা যাবে সে জায়গাগুলোতে আমরা কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রথমত সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের একসাথে কাজ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের দুর্যোগে আমরা সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি এবং তার কিছু কর্মপন্থা আমরা আলোচনা করলাম।’

তিনি জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। দেশি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা মিলে এই তহবিল গঠন করা হবে।

আসিফ সালেহ বলেন, ‘রিলিফ এবং রিহ্যাবুলেশনের জন্য একটা ব্যাপক অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। ডোনারদের সাথে সমন্বয় করার একটা সুযোগ আছে। সেটা যদি আমরা সমন্বিতভাবে এনজিও সেক্টর, এমএফআই সেক্টর এবং সরকারি সেক্টর একইসাথে যাই, আর সে জায়গাতেও কাজের ক্ষেত্রে আমরা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের কথা বলছি। সেভাবে আমরা আগাতে পারলে কাজগুলোতে সমন্বয় অনেক বেশি হবে বলে আমরা মনে করি।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ডিজেলের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার চালুর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘কমিউনিকেশনের ব্যাপারে আর্মি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সাথে কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ডিজেল পাঠিয়ে টাওয়ারগুলোকে যেন চালু করা যায়। যত দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায়।’

তিনি আরও জানান, সমন্বিতভাবে বন্যা মোকাবেলায় কাজ করবে উন্নয়ন সংস্থাগুলো। কোথাও ত্রাণ যাচ্ছে, কোথাও যাচ্ছে না। এটাও সমন্বয় করা হবে।