০৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি করানো যায়নি মিয়ানমারকে

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছরেও প্রত্যাবাসনে রাজি করানো যায়নি মিয়ানমারকে। নেপিদোর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর শুরু হয়েছিল তালিকা যাচাই-বাচাই। তবে ঠিক তখনই মিয়ানমারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বাধার মুখে পড়ে ফেরানোর চেষ্টা। এ অবস্থায় নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদেরই উদ্যোগী হতে বলছে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সে দেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ফের বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে। জাতিসংঘের হিসেবে সে সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে যা সাড়ে ১২ লাখ। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য নিয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল দুই দেশ। তবে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

কক্সবাজারে বসবাসরত এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘দেশের জন্য খুব খারাপ লাগছে। চলে যেতে ইচ্ছে করছে। এখানে আমাদের থাকতে ইচ্ছে করে না। আমাদের যদি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ করে দেয় তাহলে আমরা চলে যাব।’

আরেক রোহিঙ্গা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের নিরাপদে ফেরত দিলে আমরা এখন চলে যাব। আমাদের বার্মার কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে। এখনও সেখানে মিয়ানমার জান্তা সরকার পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে। আমরা সেখানে কোথায় যাব।’

এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, প্রত্যাবাসন নিয়ে আশার কোনো সংবাদ আপাতত নেই। রোহিঙ্গাদের নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের আন্তরিক হতে হবে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছরে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

৭ বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি করানো যায়নি মিয়ানমারকে

আপডেট : ১১:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছরেও প্রত্যাবাসনে রাজি করানো যায়নি মিয়ানমারকে। নেপিদোর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর শুরু হয়েছিল তালিকা যাচাই-বাচাই। তবে ঠিক তখনই মিয়ানমারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বাধার মুখে পড়ে ফেরানোর চেষ্টা। এ অবস্থায় নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদেরই উদ্যোগী হতে বলছে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সে দেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ফের বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে। জাতিসংঘের হিসেবে সে সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে যা সাড়ে ১২ লাখ। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য নিয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল দুই দেশ। তবে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

কক্সবাজারে বসবাসরত এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘দেশের জন্য খুব খারাপ লাগছে। চলে যেতে ইচ্ছে করছে। এখানে আমাদের থাকতে ইচ্ছে করে না। আমাদের যদি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ করে দেয় তাহলে আমরা চলে যাব।’

আরেক রোহিঙ্গা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের নিরাপদে ফেরত দিলে আমরা এখন চলে যাব। আমাদের বার্মার কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে। এখনও সেখানে মিয়ানমার জান্তা সরকার পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে। আমরা সেখানে কোথায় যাব।’

এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, প্রত্যাবাসন নিয়ে আশার কোনো সংবাদ আপাতত নেই। রোহিঙ্গাদের নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের আন্তরিক হতে হবে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছরে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।