ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হলে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাঁজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন এ ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে হলে, শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। আগের অবস্থানে যাওয়ার পরে আবেদন করতে হবে।’

খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্তে চলতি বছরের ২৬ মার্চ তার মুক্তির মেয়াদ সপ্তম বারের মতো আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়, যা শেষ হয়েছে রোববার।

শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

৭৮ বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেড় মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হৃদরোগ, লিভারসিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দী হন তিনি। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন।

তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হলে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাঁজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন এ ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে হলে, শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। আগের অবস্থানে যাওয়ার পরে আবেদন করতে হবে।’

খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্তে চলতি বছরের ২৬ মার্চ তার মুক্তির মেয়াদ সপ্তম বারের মতো আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়, যা শেষ হয়েছে রোববার।

শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

৭৮ বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেড় মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হৃদরোগ, লিভারসিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দী হন তিনি। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন।

তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।