০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সম্পর্ক নেই: সমন্বয়ক হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হচ্ছে। এসব মামলার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক। এ সময় তিনি আরও জানান, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করবে।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তারা বেরিয়ে যান।

এ সময় সারজিস আলম বলেন, সমন্বয়কদের নামে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে লকারবন্দি করতে হবে। গত ১৬ বছরে দুদকের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন তারা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়। জনগণের আস্থা আসে। সেটা নিয়ে চেয়ারম্যানের আলোচনা করেছেন বলেও জানান এই সমন্বয়ক।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি ঘিরে গত ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশসহ মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে গুলি চালায় পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও দেশত্যাগে উঠেপড়ে লাগেন।

পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়ায়। কোনো ধরনের অপরাধী যেন দেশ থেকে পালাতে না পারে সেজন্য কঠোর হয়। এমনকি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা, নির্যাতন, অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় মামলা হতে থাকে। সেসব মামলায় আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী, প্রশাসনসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি ইতোমধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তারও হয়েছেন সেসব মামলায়।

গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: শ্রম সচিব

মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সম্পর্ক নেই: সমন্বয়ক হাসনাত

আপডেট : ০৪:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হচ্ছে। এসব মামলার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক। এ সময় তিনি আরও জানান, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করবে।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তারা বেরিয়ে যান।

এ সময় সারজিস আলম বলেন, সমন্বয়কদের নামে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে লকারবন্দি করতে হবে। গত ১৬ বছরে দুদকের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন তারা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়। জনগণের আস্থা আসে। সেটা নিয়ে চেয়ারম্যানের আলোচনা করেছেন বলেও জানান এই সমন্বয়ক।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি ঘিরে গত ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশসহ মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে গুলি চালায় পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও দেশত্যাগে উঠেপড়ে লাগেন।

পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়ায়। কোনো ধরনের অপরাধী যেন দেশ থেকে পালাতে না পারে সেজন্য কঠোর হয়। এমনকি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা, নির্যাতন, অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় মামলা হতে থাকে। সেসব মামলায় আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী, প্রশাসনসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি ইতোমধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তারও হয়েছেন সেসব মামলায়।