ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এ কোন দলের কাছে হার চেলসির!

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ম্যাচের ১৪ মিনিটেই ক্রিস্তোফার এনকুনকুর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। আগের লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে জেতায় কনফারেন্স লিগের মূল পর্বের টিকিট ইংলিশ ক্লাবটির জন্য তখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু রোমাঞ্চের যে তখনো বাকি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে সমতায় ফেরে সুইস ক্লাব সারভেত্তে। দ্বিতীয়ার্ধে এনসো ক্রিভেল্লির গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েও যায় সুইজারল্যান্ডের ক্লাবটি!

দুই লেগ মিলিয়ে তখন স্কোরলাইন তখনও চেলসির পক্ষে (৩-২)। কিন্তু সেটা নিয়ে ভাবার সময় কোথায় সারভেত্তে সমর্থকদের। কনফারেন্স লিগের লিগ পর্বের টিকিট না পেলেও ঘরের মাঠে চেলসিকে হারানোর মাহাত্ম্যই বা কম কিসে? সে কারণেই হয়তো ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই উচ্ছ্বাস শুরু হয় সারভেত্তের গ্যালারিতে। ২০১৫ সালেও সুইস তৃতীয় বিভাগে খেলা একটা দলের জন্য এ তো অবিস্মরণীয় কিছু!

কিন্তু আবেগে বাঁধ ভেঙে গেল যা হয়, তা-ই হলো! বিশেষ করে চেলসি গোলকিপার ফিলিপ ইয়োর্গেনসেনের পেছনের গ্যালারিতে আগুন জ্বালিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে বাঁধভাঙা উদযাপনে মাতেন সারভেত্তে সমর্থকেরা।

সে উদযাপনের তোপে ম্যাচ চালানোই দায় হয়ে উঠল। ৮৯ মিনিটে গিয়ে কিছুক্ষণ বন্ধও থাকল খেলা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাকি সময় মাঠে গড়ায়। তাতে আর কোনো গোল না হলে ২-১ ব্যবধানে হেরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকায় লিগ পর্বের টিকিট পায় চেলসি।

২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর থেকেই পারফরম্যান্সে অবনতি ঘটতে থাকে চেলসির। সর্বশেষ মৌসুমে ছয়ে থেকে লিগ শেষ করে প্রথমবারের মতো ইউরোপের তৃতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগে খেলছে তারা। সর্বশেষ মৌসুমে ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্সে ডাগ আউট থেকে চাকরি হারিয়েছেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন এনসো মারেস্কা। কিন্তু ৪৪ বছর বয়সী এ ইতালিয়ান কোচের অধীনে প্রথম ৪ ম্যাচে ৬ গোল খেয়েছে চেলসি।

গতকাল সারভেত্তের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মারেস্কা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথম ৩০ মিনিট ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল এবং আমরা স্কোরলাইন ২-০ করার জন্য তিন-চারটা সুযোগ পেয়েছিলাম। এরপর আমরা গোল হজম করলাম। তখন কিছুটা ভোগাই স্বাভাবিক। এ ম্যাচটা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। সম্ভবত এ মৌসুমে এটাই ওদের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এ ধরনের ম্যাচে হারানোর অনেক কিছু থাকে। কিন্তু জেতার তেমন কিছু থাকে না। তাই আমি এ ম্যাচটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ কোন দলের কাছে হার চেলসির!

আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

ম্যাচের ১৪ মিনিটেই ক্রিস্তোফার এনকুনকুর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। আগের লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে জেতায় কনফারেন্স লিগের মূল পর্বের টিকিট ইংলিশ ক্লাবটির জন্য তখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু রোমাঞ্চের যে তখনো বাকি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে সমতায় ফেরে সুইস ক্লাব সারভেত্তে। দ্বিতীয়ার্ধে এনসো ক্রিভেল্লির গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েও যায় সুইজারল্যান্ডের ক্লাবটি!

দুই লেগ মিলিয়ে তখন স্কোরলাইন তখনও চেলসির পক্ষে (৩-২)। কিন্তু সেটা নিয়ে ভাবার সময় কোথায় সারভেত্তে সমর্থকদের। কনফারেন্স লিগের লিগ পর্বের টিকিট না পেলেও ঘরের মাঠে চেলসিকে হারানোর মাহাত্ম্যই বা কম কিসে? সে কারণেই হয়তো ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই উচ্ছ্বাস শুরু হয় সারভেত্তের গ্যালারিতে। ২০১৫ সালেও সুইস তৃতীয় বিভাগে খেলা একটা দলের জন্য এ তো অবিস্মরণীয় কিছু!

কিন্তু আবেগে বাঁধ ভেঙে গেল যা হয়, তা-ই হলো! বিশেষ করে চেলসি গোলকিপার ফিলিপ ইয়োর্গেনসেনের পেছনের গ্যালারিতে আগুন জ্বালিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে বাঁধভাঙা উদযাপনে মাতেন সারভেত্তে সমর্থকেরা।

সে উদযাপনের তোপে ম্যাচ চালানোই দায় হয়ে উঠল। ৮৯ মিনিটে গিয়ে কিছুক্ষণ বন্ধও থাকল খেলা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাকি সময় মাঠে গড়ায়। তাতে আর কোনো গোল না হলে ২-১ ব্যবধানে হেরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকায় লিগ পর্বের টিকিট পায় চেলসি।

২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর থেকেই পারফরম্যান্সে অবনতি ঘটতে থাকে চেলসির। সর্বশেষ মৌসুমে ছয়ে থেকে লিগ শেষ করে প্রথমবারের মতো ইউরোপের তৃতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগে খেলছে তারা। সর্বশেষ মৌসুমে ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্সে ডাগ আউট থেকে চাকরি হারিয়েছেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন এনসো মারেস্কা। কিন্তু ৪৪ বছর বয়সী এ ইতালিয়ান কোচের অধীনে প্রথম ৪ ম্যাচে ৬ গোল খেয়েছে চেলসি।

গতকাল সারভেত্তের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মারেস্কা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথম ৩০ মিনিট ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল এবং আমরা স্কোরলাইন ২-০ করার জন্য তিন-চারটা সুযোগ পেয়েছিলাম। এরপর আমরা গোল হজম করলাম। তখন কিছুটা ভোগাই স্বাভাবিক। এ ম্যাচটা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। সম্ভবত এ মৌসুমে এটাই ওদের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এ ধরনের ম্যাচে হারানোর অনেক কিছু থাকে। কিন্তু জেতার তেমন কিছু থাকে না। তাই আমি এ ম্যাচটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম।’