আধিপত্য বিস্তার করেই দিন শেষ করল বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
দুর্দান্ত এক ছুটে চলা ছিল লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে। ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন তারা। ওই পথেই গড়ে ফেলেছিলেন বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটিও।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে খুররাম শেহজাদ বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিল দুঃস্বপ্ন। সেই খুররাম শেহজাদকে বোল্ড করেই দিনটি শেষ করল বাংলাদেশ। এতে রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২১ রানে পিছিয়ে থাকলেও সফরকারীরা রয়েছে স্বস্তি। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৬২ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তানের এই মুহূর্তে স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান।
দ্বিতীয় টেস্টে নিজের প্রথম আর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাসান মাহমুদের আঘাত। খানিক আগেই ব্যাট হাতে ৫১ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের পুঁজি বাড়িয়েছিলেন। এবার ভূমিকা রেখেছেন বল হাতে। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক।
শফিক আউট হওয়ার পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন খুররম শেহজাদ। তাকে বোল্ড করে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এতেই খেলা শেষ হয়। ২১ রানের লিড থাকলেও ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে নিঃসন্দেহে চাপের মুখে থাকবে পাকিস্তান। আর দিনের শুরুতে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও দিনশেষে বাংলাদেশের জন্য থাকছে স্বস্তি।
১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটা যে তাঁদেরই। সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েছেন লিটন-মিরাজ।
এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট খোয়ানোর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। সেই রেকর্ডটিও হয়েছিল পাকিস্তানে। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল। রাজ্জাক ৪৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কামরান ফিরেছিলেন শোয়েব আখতারকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ার পর ১১৩ রান করে। সেই ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।