০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিল

১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার যে বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করার বিধান অর্থ আইন ২০২৪ এর মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছিল। একজন নিয়মিত করদাতাকে তার আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রদেয় করের ওপর আরও সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয় বিধায় মাত্র ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া একটি ন্যায়নিষ্ঠ সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থার জন্য বৈষম্যমূলক।

এ পরিস্থিতিতে একটি ন্যায়নিষ্ঠ সমতাভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন (এস আর ও নং ৩০৩-আইন/আয়কর-৪৬/২০২৪, তারিখ: ০২/০৯/২০২৪) দ্বারা, ১৫ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করে নগদ অর্থসহ অপ্রদর্শিত সমজাতীয় পরিসম্পদ প্রদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হলো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ানুগ ও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর সদরদফতরে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

জুলাই মাসে অনুমোদিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার বিধান রাখে। তৎকালীন সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন তীব্র সমালোচনা হয়। কারণ বৈধ করদাতাদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়করের পাশাপাশি অতিরিক্ত সারচার্জ দিতে হয়।

কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিল

আপডেট : ১১:২১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার যে বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করার বিধান অর্থ আইন ২০২৪ এর মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছিল। একজন নিয়মিত করদাতাকে তার আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রদেয় করের ওপর আরও সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয় বিধায় মাত্র ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া একটি ন্যায়নিষ্ঠ সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থার জন্য বৈষম্যমূলক।

এ পরিস্থিতিতে একটি ন্যায়নিষ্ঠ সমতাভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন (এস আর ও নং ৩০৩-আইন/আয়কর-৪৬/২০২৪, তারিখ: ০২/০৯/২০২৪) দ্বারা, ১৫ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করে নগদ অর্থসহ অপ্রদর্শিত সমজাতীয় পরিসম্পদ প্রদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হলো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ানুগ ও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর সদরদফতরে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

জুলাই মাসে অনুমোদিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার বিধান রাখে। তৎকালীন সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন তীব্র সমালোচনা হয়। কারণ বৈধ করদাতাদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়করের পাশাপাশি অতিরিক্ত সারচার্জ দিতে হয়।