ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

কঙ্গোতে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় নিহত ১২৯

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে।

এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। কারাগারের হাসপাতালসহ প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিনশাসার কেন্দ্রীয় মাকালা কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানি লুকু বলেছেন, হাসপাতালসহ কারগারের প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে বন্দিরা সোমবার সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১২৯ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে সতর্কতামূলক হুঁশিয়ারির পর ২৪ জন বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর সাথে বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, মাকালা কারাগারটি আফ্রিকার এই দেশটির বৃহত্তম কারাগার এবং ১৫০০ বন্দি রাখার জন্য এটি নির্মিত হয়েছিল। তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে এই কারাগারে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার বন্দি রয়েছে।

এসব বন্দিদের অধিকাংশই বিচারের অপেক্ষায় আছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিআরসির সাম্প্রতিকতম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারাগারগুলোতে ভিড় কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে সরকারি সফরে চীনে থাকায় কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির কাছ থেকে সোমবারের ঘটনায় কোনও প্রকাশ্য মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কঙ্গোতে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় নিহত ১২৯

আপডেট সময় : ০২:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে।

এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। কারাগারের হাসপাতালসহ প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিনশাসার কেন্দ্রীয় মাকালা কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানি লুকু বলেছেন, হাসপাতালসহ কারগারের প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে বন্দিরা সোমবার সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১২৯ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে সতর্কতামূলক হুঁশিয়ারির পর ২৪ জন বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর সাথে বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, মাকালা কারাগারটি আফ্রিকার এই দেশটির বৃহত্তম কারাগার এবং ১৫০০ বন্দি রাখার জন্য এটি নির্মিত হয়েছিল। তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে এই কারাগারে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার বন্দি রয়েছে।

এসব বন্দিদের অধিকাংশই বিচারের অপেক্ষায় আছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিআরসির সাম্প্রতিকতম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারাগারগুলোতে ভিড় কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে সরকারি সফরে চীনে থাকায় কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির কাছ থেকে সোমবারের ঘটনায় কোনও প্রকাশ্য মন্তব্য পাওয়া যায়নি।