ইসিকে স্বাধীন ও সংস্কার করতে হবে : গণঅধিকার পরিষদ
- আপডেট সময় : ১০:৪৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই স্বাধীন করতে হবে এবং তাদের সংস্কার করতে হবে। এই দাবি আমরা আগে থেকেই জানিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমরা উপদেষ্টার কাছে বৈঠক করে বলেছি কমিশন সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনো দিনও বাংলাদেশে সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ আরও বলেন,এই নির্বাচন কমিশনের সংস্কার দাবি করছি। এই নির্বাচন কমিশন যেভাবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছে তাদের দিয়ে সঠিক নির্বাচন হবে না। আগামীতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
একইসঙ্গে যেসব দল শর্ত পূরণ না করে আগে নিবন্ধন পেয়েছিল তাদের নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে। বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কিছু ভূঁইফোঁড় সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। যেকোনো ভুঁইফোঁড় দল এসে নিবন্ধন চাইবে এটা তো হতে পারে না। সুতরাং যারা শর্ত পূরণ করবে না তাদের কোনোভাবেই নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে রেজা কিবরিয়া এমপি নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদকে (একাংশ) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ইসিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন তিনি।
রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, রেজা কিবরিয়া আমাদের দলের কেউ নন। তিনি নিবন্ধনের নামে ইসিতে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি তাকে রেজা কিবরিয়ার লোক অবরুদ্ধ করে রেখেছে। একজন সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে সচিবের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে হবে। সচিবের রুমে সেই সাংবাদিক টেবিল থাপড়িয়েছেন, সচিবকে গালিগালাজ করা হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয়ে যারা সচিবের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে তার গ্রেপ্তার করা হোক। এদের শাস্তির দাবি করছি। রেজা কিবরিয়া আহ্বায়ক নেই, তাকে কেউ মেনে নেবে না। আপনারা দেখেন জেলে যাওয়ার ভয়ে রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে পদত্যাগ করেছিল। আমরা ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে কখনও ভয় পাইনি।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন পেয়েছে। আমরা দেখেছি একই নামের ক্ষেত্রে কিছু জুড়ে দিয়ে কোনো গোষ্ঠী একই নামে নিবন্ধন নিতে চাই। তাদের প্রতিহত করা হবে। তারুণ্যনির্ভর আমাদের একটা দল নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলুক আমরা চাই না। যারা এটা করবে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে।
রাশেদ খান বলেন, গতকাল নিবন্ধন পেয়েছি, সব শর্ত পূরণ করেছি। ফ্যাসিবাদ হাসিনার চাপে এর আগে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ডিজিএফআই বলেছিল হাসিনার অধীনে ভোটে আসতে, আমরা আসিনি। গণঅধিকার পরিষদ দেশের কল্যাণে সব শর্ত পূরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ ২০১৮ সালে আন্দোলনের যে বীজ বপন করেছিল তার ফল পেয়েছি ২০২৪ সালে।
নিবন্ধন দেওয়ার জন্য ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, বাংলাদেশকে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে একসঙ্গে কাজ করি। আসুন সবাই মিলে এই সরকারকে সহযোগিতা করি। গণঅধিকার পরিষদ রাষ্ট্র সংস্কারে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।