০৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারে ৬০ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে সাভারে ৬০টি তৈরি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থিত কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে কারখানায় সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে বলেও জানায় শিল্প পুলিশ।

জানা গেছে, সকালে হা-মীম গার্মেন্টসের কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক কাজে যোগ দেন। পরে তাদের কারখানায় হঠাৎ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। হা-মীমের শ্রমিকরা শারমিন গার্মেন্টসের সামনে গেলে তাদের কারখানার শ্রমিকরাও বের হয়ে আসেন। এরপর জিরাবো, ঘোষবাগ, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকার যতগুলো পোশাক কারখানা ছিল সেগুলোতে আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেনাবাহিনী, শিল্পপুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

নরসিংহপুর এলাকায় হা-মীম গ্রপের কারখানার পাশে এক চা দোকানি বলেন, “কারখানায় সকাল থেকে কাজ চলছিল। এরপর লোকজন চাকরির জন্য কারখানার সামনে এসে বিক্ষোভ করলে কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়।”

এদিকে সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের কারখানার সামনে টিফিন ভাতা, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহনানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা ২ টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্য ও ঢাকা জেলা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শ্রমিকরা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে পলাশবাড়ী এলাকার গিল্ডান বাংলাদেশ নামের পোশাক কারখানায় হামলা ঠেকাতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।

গিলান্ড বাংলাদেশের এক শ্রমিক বলেন, “আমরা কাজ করতে চাই। কারখানা আমাদের সম্পদ তাই এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কারখানা বন্ধ হলে খাবো কী?”

বহিরাগতদের আক্রমণে কাজ শুরুর আধা ঘন্টার পর কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার শারমিন গ্রুপ। এ সময় কারখানাটির সামনে থাকা দুটি মিনিবাস ভাঙচুর করা হয় বলে জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শারমিন গ্রুপের এমডি ইসমাইল হোসেন বলেন, “নাসা গ্রুপ, আল মুসলিম ও নিউএইজ গার্মেন্টস বন্ধ ছিল। ওরা আজকে খুলে দেয়। বাইরের কিছু লোকজন এসে কারখানা ভাঙচুর করলে কারখানাগুলো ছুটি দিয়ে দেয়, আমরাও ছুটি দেই। আমাদের শ্রমিকরা তো কাজ করছিল। বাইরে থেকে এসে যদি আক্রমণ করে তাহলে শ্রমিকদের সেফটির জন্য আমরা ছেড়ে দেই।”

জামগড়া এলাকার দি রোজ ড্রেসেস লি. কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সাধন বাবু বলেন, “আমাদের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল সকালে। এরপর আশেপাশের আইডিএস, এফএনএফ কারখানার শ্রমিকরা নেমে আসে, কেন নেমে আসে জানিনা। আমরা শুনেছি তাদের আশেপাশের কারখানাগুলো থেকেও শ্রমিকদের নামিয়ে নেওয়া হয়েছে, কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। ছুটি দেওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা আমাদের এইদিকেও আসছিল, পরে আমরা ভয়ে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। গেটে হামলা কিংবা ঢিল মারার আগেই আমরা ছুটি দেই। গত দুদিনে দেখেছি কোনো কারখানার শ্রমিকরা নেমে আসলে ওরা অন্য কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে নিয়ে যায়।”

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ~শ্রমিকদের দাবি পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে নারী-পুরুষের সমতা আনতে হবে। কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করা যাবেনা, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। প্রোডাকশনের চাপ কমাতে হবে এগুলোই মূল দাবি। এছাড়া ছুটি ঠিকমত দিতে হবে, শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করা যাবে না, হাজিরা বোনাস বাড়াতে হবে এমন অসংখ্য দাবি করছেন। কোনো কারখানায় ৭ দফা, কোনো জায়গায় ১১ দফা, কোনো জায়গায় ১৫ দফা দাবি করা হচ্ছে।”

কেন এই অস্থিরতা, জানতে চাইলে এই শ্রমিক নেতা বলেন, “কারখানার মালিকানা বা বিজিএমইএর নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এখানে ভূমিকা রাখছে। আওয়ামী লীগের আমলে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ যাদের কাছে ছিল এখন সেখান থেকে হাতবদল হওয়ার ব্যাপারটাও একটা ভূমিকা রাখছে। একটা শ্রেণি আছে যখন এমন কোনো বিক্ষোভ হয় তখন তারা কারখানার ভেতরে ঢুকে লুটপাট করে তারাও আছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ কিংবা শিল্প পুলিশ যে মিমাংসা বা নেগোসিয়েশন করে এবার সে ব্যাপারটাও তেমন চোখে পড়েনি। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার ব্যাপারটাও তেমন চোখে পড়েনি। আমার মনে হয় শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ব্যাপারগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।”

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, “শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে কারখানায় এসেছিলেন। এরমধ্যে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা হা-মীম গ্রুপের কারখানার শ্রমিকদের তারা কেন কাজ করছে এমন কথা বললে হা-মীম গ্রুপের কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অন্তত ৬০টি কারখানা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

তবে শিল্পাঞ্চলের ডিইপিজেডসহ অন্যান্য এলাকায় কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।

সাভারে ৬০ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা

আপডেট : ০৬:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে সাভারে ৬০টি তৈরি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থিত কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে কারখানায় সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে বলেও জানায় শিল্প পুলিশ।

জানা গেছে, সকালে হা-মীম গার্মেন্টসের কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক কাজে যোগ দেন। পরে তাদের কারখানায় হঠাৎ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। হা-মীমের শ্রমিকরা শারমিন গার্মেন্টসের সামনে গেলে তাদের কারখানার শ্রমিকরাও বের হয়ে আসেন। এরপর জিরাবো, ঘোষবাগ, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকার যতগুলো পোশাক কারখানা ছিল সেগুলোতে আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেনাবাহিনী, শিল্পপুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

নরসিংহপুর এলাকায় হা-মীম গ্রপের কারখানার পাশে এক চা দোকানি বলেন, “কারখানায় সকাল থেকে কাজ চলছিল। এরপর লোকজন চাকরির জন্য কারখানার সামনে এসে বিক্ষোভ করলে কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়।”

এদিকে সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের কারখানার সামনে টিফিন ভাতা, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহনানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা ২ টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্য ও ঢাকা জেলা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শ্রমিকরা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে পলাশবাড়ী এলাকার গিল্ডান বাংলাদেশ নামের পোশাক কারখানায় হামলা ঠেকাতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।

গিলান্ড বাংলাদেশের এক শ্রমিক বলেন, “আমরা কাজ করতে চাই। কারখানা আমাদের সম্পদ তাই এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কারখানা বন্ধ হলে খাবো কী?”

বহিরাগতদের আক্রমণে কাজ শুরুর আধা ঘন্টার পর কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার শারমিন গ্রুপ। এ সময় কারখানাটির সামনে থাকা দুটি মিনিবাস ভাঙচুর করা হয় বলে জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শারমিন গ্রুপের এমডি ইসমাইল হোসেন বলেন, “নাসা গ্রুপ, আল মুসলিম ও নিউএইজ গার্মেন্টস বন্ধ ছিল। ওরা আজকে খুলে দেয়। বাইরের কিছু লোকজন এসে কারখানা ভাঙচুর করলে কারখানাগুলো ছুটি দিয়ে দেয়, আমরাও ছুটি দেই। আমাদের শ্রমিকরা তো কাজ করছিল। বাইরে থেকে এসে যদি আক্রমণ করে তাহলে শ্রমিকদের সেফটির জন্য আমরা ছেড়ে দেই।”

জামগড়া এলাকার দি রোজ ড্রেসেস লি. কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সাধন বাবু বলেন, “আমাদের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছিল সকালে। এরপর আশেপাশের আইডিএস, এফএনএফ কারখানার শ্রমিকরা নেমে আসে, কেন নেমে আসে জানিনা। আমরা শুনেছি তাদের আশেপাশের কারখানাগুলো থেকেও শ্রমিকদের নামিয়ে নেওয়া হয়েছে, কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। ছুটি দেওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা আমাদের এইদিকেও আসছিল, পরে আমরা ভয়ে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। গেটে হামলা কিংবা ঢিল মারার আগেই আমরা ছুটি দেই। গত দুদিনে দেখেছি কোনো কারখানার শ্রমিকরা নেমে আসলে ওরা অন্য কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে নিয়ে যায়।”

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ~শ্রমিকদের দাবি পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে নারী-পুরুষের সমতা আনতে হবে। কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করা যাবেনা, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। প্রোডাকশনের চাপ কমাতে হবে এগুলোই মূল দাবি। এছাড়া ছুটি ঠিকমত দিতে হবে, শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করা যাবে না, হাজিরা বোনাস বাড়াতে হবে এমন অসংখ্য দাবি করছেন। কোনো কারখানায় ৭ দফা, কোনো জায়গায় ১১ দফা, কোনো জায়গায় ১৫ দফা দাবি করা হচ্ছে।”

কেন এই অস্থিরতা, জানতে চাইলে এই শ্রমিক নেতা বলেন, “কারখানার মালিকানা বা বিজিএমইএর নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এখানে ভূমিকা রাখছে। আওয়ামী লীগের আমলে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ যাদের কাছে ছিল এখন সেখান থেকে হাতবদল হওয়ার ব্যাপারটাও একটা ভূমিকা রাখছে। একটা শ্রেণি আছে যখন এমন কোনো বিক্ষোভ হয় তখন তারা কারখানার ভেতরে ঢুকে লুটপাট করে তারাও আছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ কিংবা শিল্প পুলিশ যে মিমাংসা বা নেগোসিয়েশন করে এবার সে ব্যাপারটাও তেমন চোখে পড়েনি। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার ব্যাপারটাও তেমন চোখে পড়েনি। আমার মনে হয় শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ব্যাপারগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।”

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, “শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে কারখানায় এসেছিলেন। এরমধ্যে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা হা-মীম গ্রুপের কারখানার শ্রমিকদের তারা কেন কাজ করছে এমন কথা বললে হা-মীম গ্রুপের কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অন্তত ৬০টি কারখানা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

তবে শিল্পাঞ্চলের ডিইপিজেডসহ অন্যান্য এলাকায় কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।