ইকুয়েডরকে হারাতে ঘাম ঝরল ব্রাজিলের
- আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের জানুয়াতে ব্রাজিলের ডাগআউট সামলানোর দায়িত্ব নেন দরিফাউ জুনিয়র। ৬২ বছর বয়সী এ কোচের অধীনে আজকের আগ পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। সর্বশেষ কোপা আমেরিকাতেও ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের যাত্রা থামে কোয়ার্টার ফাইনালেই। সে ব্যর্থতা ভুলে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সেলেসাওরা। ঘরের মাঠে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
সেলেসাওদের কোচ হিসেবে ব্রাজিলের মাটিতে এটাই প্রথম ম্যাচ দরিফাউয়ের। একইসঙ্গে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়েও দরিফাউয়ের এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ। দরিফাউয়ের ‘ডাবল’ অভিষেকটা জয়েই রাঙালো ব্রাজিল।
এ জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয়ে ইকুয়েডর। ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময় আজ সকালে শুরু হওয়া ম্যাচের ৩য় মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ব্রাজিলের। রদ্রিগোর ফ্রি কিকে বক্সের ভেতর থেকে হেড নিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল মাগালিয়েস। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের হেড বারপোস্টের অনেক ওপর দিয়ে যায়।
১২ মিনিটে ইকুয়েডর গোলকিপার ও ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। তোরেসের ব্যাকপাস দিয়েছিলেন গোলকিপার গালিনদেসকে। ভিনিসিয়ুসকে এগিয়ে আসতে দেখে শট নিয়েছিলেন ইকুয়েডর গোলকিপার। সেটি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের গায়ে লেগে অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি।
২২তম মিনিটে তোরেসের ভুল পাস বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু সহজ সুযোগ পেয়েও সেটি নষ্ট করেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার। এর ৮ মিনিট পর ব্রাজিল সমর্থকদের অপেক্ষার অবসান ঘটান রদ্রিগো। লুকাস পাকেতার পাস বক্সের বাইরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক শটে ইকুয়েডরের জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান নাম্বার টেন।
এর ৫ মিনিট পরে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। বক্সের বাইরে থেকে ভিনির নেওয়া চিপ শট ইকুয়েডর গোলকিপারকে পরাস্তও করেছিলেন। কিন্তু তা দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রায় সমতা ফিরিয়েছিল ইকুয়েডর। দলটির স্ট্রাইকার মোয়েসিস সেইসেদো অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন। তবে চেলসি স্ট্রাইকারের শট প্রথম দফায় ফিরিয়ে দেন ব্রাজিল গোলকিপার আলিসন। ফিরতি বলে আবার শট নিয়েছিলেন সেইসেদো। এবার গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে ব্রাজিলের জাল অক্ষত রাখেন গ্যাব্রিয়েল।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে থাকে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রদ্রিগোর ফ্রিকিক অনেক ওপর দিয়ে যায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আক্রমণাত্মকভাবে ইকুয়েডরের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু গোল আর পেলেন কোথায়। এগিয়ে আসা প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারলেও ইকুয়েডর ডিফেন্ডারের কড়া পাহাড়ায় শেষ মুহূর্তে সাইডনেটে শট নেন ভিনিসিয়ুস।
৮০ মিনিটে প্রতিআক্রমণে উঠে ইকুয়েডর। তবে দলটির দলীয় আক্রমণ ব্যর্থ হয় স্ট্রাইকার জন মারকাদোর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে। পাঁচ মিনিট পরে পায়েস কার্লসের মাপা ফ্রি কিক ব্রাজিল বক্সে পড়েছিল। কিন্তু সে ক্রসে পা লাগাতে পারেননি সেইসেদো। যোগ করা সময়ের সময়ের একদম শেষ মুহূর্তেও ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রিকিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় দলটি।