০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের কারণে এখনো উচ্চ মূল্যে ইলিশ বিক্রি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ দেখেছেন

মৌসুমে ইলিশের চড়া মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রত্যাশা ছিল ভোক্তাদের। কিন্তু ফরিদপুরের স্থানীয়রা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে এখনো উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বেশি।

ফরিদপুর শহরের হাজি শরীয়াতুল্লা মাছ বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা ছোট বড় নানা আকৃতির ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেছে। কেউ দেখে চলে যাচ্ছে আবার কেউবা কিনছেন। তবে দাম চড়া হওয়ায় বেশির ভাগ ক্রেতা ফিরছেন খালি হাতে।

ভারতে ইলিশ সরবরাহ বন্ধ হলে দাম কমবে বলে ধারণা ছিল অনেক ক্রেতার। তবে ফরিদপুরে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে ইলিশ থেকে গেছে নাগালের বাইরে। অবৈধভাবে মজুতের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

ফরিদপুরে ইলিশ মাছের বড় আড়তদার রয়েছে সাত জন, তারাই দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে আড়তদাররা বলছেন ভিন্ন কথা। ফরিদপুর পৌর এলাকাতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ মণ ইলিশের চাহিদা থাকলেও এবার সাগর-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম। উপরন্তু পরিবহন খরচ, খাজনাসহ নানা কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যায় বলছেন তারা।

হাজী শরীয়াতুল্লা বাজারের রুপালী ফিসে স্বত্বাধিকারী হারান সরকার জানান, ইলিশের মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন ফরিদপুর সদর উপজেলায় বাজারগুলোতে একশ থেকে একশ দশ মন ইলিশ আনা হয় । তবে মৌসুম ব্যতীত এর হার ৪০ থেকে ৬০ মনের মধ্যে বা তারও কিছু কম বেশি থাকে ।

বাজারে মাছ ব্যবসায়ী বলছে, সাগর বা নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম,তাই বাজার দরও একটু বেশি আর এই কারণে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহও তেমন নেই।

ফরিদপুরের শরীয়াতুল্লাহ বাজার, টেপাখেলা বাজার, হেলিপ্যাড মাছ বাজারে বর্তমানে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে ১৭শ টাকায়। আর এক কেজির চেয়ে বড় আকৃতির কেজি ১৯শ থেকে ২২শ টাকা । এছাড়া একদম ছোট আকৃতির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায় ।

প্রতিটি বাজারেই বিক্রেতারা একই দামে বিক্রি করছে। বাজার গুলোতে সিন্ডিকেটের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ক্রেতাদের।

সিন্ডিকেটের কারণে এখনো উচ্চ মূল্যে ইলিশ বিক্রি

আপডেট : ০১:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমে ইলিশের চড়া মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রত্যাশা ছিল ভোক্তাদের। কিন্তু ফরিদপুরের স্থানীয়রা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে এখনো উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বেশি।

ফরিদপুর শহরের হাজি শরীয়াতুল্লা মাছ বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা ছোট বড় নানা আকৃতির ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেছে। কেউ দেখে চলে যাচ্ছে আবার কেউবা কিনছেন। তবে দাম চড়া হওয়ায় বেশির ভাগ ক্রেতা ফিরছেন খালি হাতে।

ভারতে ইলিশ সরবরাহ বন্ধ হলে দাম কমবে বলে ধারণা ছিল অনেক ক্রেতার। তবে ফরিদপুরে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে ইলিশ থেকে গেছে নাগালের বাইরে। অবৈধভাবে মজুতের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

ফরিদপুরে ইলিশ মাছের বড় আড়তদার রয়েছে সাত জন, তারাই দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে আড়তদাররা বলছেন ভিন্ন কথা। ফরিদপুর পৌর এলাকাতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ মণ ইলিশের চাহিদা থাকলেও এবার সাগর-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম। উপরন্তু পরিবহন খরচ, খাজনাসহ নানা কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যায় বলছেন তারা।

হাজী শরীয়াতুল্লা বাজারের রুপালী ফিসে স্বত্বাধিকারী হারান সরকার জানান, ইলিশের মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন ফরিদপুর সদর উপজেলায় বাজারগুলোতে একশ থেকে একশ দশ মন ইলিশ আনা হয় । তবে মৌসুম ব্যতীত এর হার ৪০ থেকে ৬০ মনের মধ্যে বা তারও কিছু কম বেশি থাকে ।

বাজারে মাছ ব্যবসায়ী বলছে, সাগর বা নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম,তাই বাজার দরও একটু বেশি আর এই কারণে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহও তেমন নেই।

ফরিদপুরের শরীয়াতুল্লাহ বাজার, টেপাখেলা বাজার, হেলিপ্যাড মাছ বাজারে বর্তমানে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে ১৭শ টাকায়। আর এক কেজির চেয়ে বড় আকৃতির কেজি ১৯শ থেকে ২২শ টাকা । এছাড়া একদম ছোট আকৃতির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায় ।

প্রতিটি বাজারেই বিক্রেতারা একই দামে বিক্রি করছে। বাজার গুলোতে সিন্ডিকেটের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ক্রেতাদের।