ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁও এলাকার এই ময়লা আবর্জনায় ভরা খালই এখন মশার আঁতুড়ঘর। এছাড়া বৃষ্টিতে বাসাবাড়ির ছাদ এবং রাস্তায় জমে থাকা পানিও বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি।

থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। সিটি করপোরেশন থেকে পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ না থাকায় মশার দাপট দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন নানা অভিযোগ এলাকাবাসীর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে- মশার সংখ্যা বাড়ায় বিভিন্ন স্ট্রেইনের রোগি আসছে, ফলে জটিলতা বেড়ে মৃত্যুও বাড়ছে।

খালের আশেপাশের বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মশার যন্ত্রণায় দিনের বেলাতেও যেন সুস্থির থাকার উপায় নেই। সন্ধ্যার পর উপদ্রব বেড়ে যায় বহুগুণ।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড তিনটি ওয়ার্ডই এখন রোগীতে পরিপূর্ণ। মুগদা, মান্ডা, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ীসহ ডেঙ্গু উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকার রোগিই বেশি এখানে। জ্বর, মাথা ব্যথা,শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণসহ নানা উপসর্গ নিয়ে এসেছেন অনেকেই।

রোগিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি শুক্রবারে হাসপাতালে ভর্তি হয়ছি। এ পর্যন্ত ৫টা স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই জ্বর নাই কিন্তু জ্বর যখন উঠে দুইতিন জনও ধরে রাখতে পারে না। এছাড়াও মাথা ব্যথা, বমি।’

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের তেমন গতি না থাকায় ডেঙ্গু বাড়ছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

স্বজনদের মধ্যে একজন জানান, ‘সিটি করপোরেশনেরও কিছু গাফলতি আছে। তারা ঠিকমত স্প্রে করে না।’

মশাতো প্রচুর এখন আগের থেকে একটু কমছে। ময়লা পরিষ্কার করলেই মশা আরোও অনেক কমে যাবে বলেও জানান একজন।

মুগদা হাসপাতালের পরিচালকের কথাতেও সিটি করপোরেশনের অবহেলার সত্যতা মিলে। মশা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্ট্রেইনের রোগী বেড়েছে, ফলে জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুও বাড়ছে।

মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘গতবছরের মতো এখনো অবস্থা খারাপ হয়নি।গতবছর জুলাই মাসে রোগি ছিল ১৪ হাজার এবং সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১১ হাজাররোগি মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে। সে তুলনায় আমি বলবো ভালো। কিন্তু আসতে আসতে ডেঙ্গুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে।’

অন্যদিকে সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে।

আরো বলেন, ‘এখানে ২টো ভাগ আছে একটা হচ্ছে প্রতিরোধ আরেকটা হচ্ছে চিকিৎসা। বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে আমি মনে করি প্রতিরোধই ৯০ ভাগ আর ১০ ভাগ হচ্ছে চিকিৎসা।’

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। যার মধ্যে চলতি সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁও এলাকার এই ময়লা আবর্জনায় ভরা খালই এখন মশার আঁতুড়ঘর। এছাড়া বৃষ্টিতে বাসাবাড়ির ছাদ এবং রাস্তায় জমে থাকা পানিও বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর ঝুঁকি।

থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। সিটি করপোরেশন থেকে পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ না থাকায় মশার দাপট দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন নানা অভিযোগ এলাকাবাসীর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে- মশার সংখ্যা বাড়ায় বিভিন্ন স্ট্রেইনের রোগি আসছে, ফলে জটিলতা বেড়ে মৃত্যুও বাড়ছে।

খালের আশেপাশের বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মশার যন্ত্রণায় দিনের বেলাতেও যেন সুস্থির থাকার উপায় নেই। সন্ধ্যার পর উপদ্রব বেড়ে যায় বহুগুণ।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড তিনটি ওয়ার্ডই এখন রোগীতে পরিপূর্ণ। মুগদা, মান্ডা, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ীসহ ডেঙ্গু উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকার রোগিই বেশি এখানে। জ্বর, মাথা ব্যথা,শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণসহ নানা উপসর্গ নিয়ে এসেছেন অনেকেই।

রোগিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি শুক্রবারে হাসপাতালে ভর্তি হয়ছি। এ পর্যন্ত ৫টা স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই জ্বর নাই কিন্তু জ্বর যখন উঠে দুইতিন জনও ধরে রাখতে পারে না। এছাড়াও মাথা ব্যথা, বমি।’

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের তেমন গতি না থাকায় ডেঙ্গু বাড়ছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

স্বজনদের মধ্যে একজন জানান, ‘সিটি করপোরেশনেরও কিছু গাফলতি আছে। তারা ঠিকমত স্প্রে করে না।’

মশাতো প্রচুর এখন আগের থেকে একটু কমছে। ময়লা পরিষ্কার করলেই মশা আরোও অনেক কমে যাবে বলেও জানান একজন।

মুগদা হাসপাতালের পরিচালকের কথাতেও সিটি করপোরেশনের অবহেলার সত্যতা মিলে। মশা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্ট্রেইনের রোগী বেড়েছে, ফলে জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুও বাড়ছে।

মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘গতবছরের মতো এখনো অবস্থা খারাপ হয়নি।গতবছর জুলাই মাসে রোগি ছিল ১৪ হাজার এবং সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১১ হাজাররোগি মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে। সে তুলনায় আমি বলবো ভালো। কিন্তু আসতে আসতে ডেঙ্গুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে।’

অন্যদিকে সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে।

আরো বলেন, ‘এখানে ২টো ভাগ আছে একটা হচ্ছে প্রতিরোধ আরেকটা হচ্ছে চিকিৎসা। বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে আমি মনে করি প্রতিরোধই ৯০ ভাগ আর ১০ ভাগ হচ্ছে চিকিৎসা।’

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। যার মধ্যে চলতি সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।