১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপে বসছে আমেরিকা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১০:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ দেখেছেন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করছে আমেরিকা। এ সপ্তাহেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ আলোচনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ফিন্যানসিয়াল টাইমস।

এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অর্থনীতিকে চাঙা করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন।

আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই দুই দেশের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

ফিন্যানসিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এতে পররাষ্ট্র দপ্তর, ইউএসএইড এবং মার্কিন ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী অর্থমন্ত্রী ব্র্যান্ট নেউমান ফিন্যানসিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী আমেরিকা।’

ব্র্যান্ট নেউমান আরও বলেন, ‘আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায়।’

এক সময়ের আঞ্চলিক অর্থনীতির নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ কোভিড পরবর্তী সময় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পর ২০২২ সালে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফের দ্বারস্থ হয়। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।

আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশের মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপে বসছে আমেরিকা

আপডেট : ১০:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করছে আমেরিকা। এ সপ্তাহেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ আলোচনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ফিন্যানসিয়াল টাইমস।

এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অর্থনীতিকে চাঙা করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন।

আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই দুই দেশের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

ফিন্যানসিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এতে পররাষ্ট্র দপ্তর, ইউএসএইড এবং মার্কিন ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী অর্থমন্ত্রী ব্র্যান্ট নেউমান ফিন্যানসিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী আমেরিকা।’

ব্র্যান্ট নেউমান আরও বলেন, ‘আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায়।’

এক সময়ের আঞ্চলিক অর্থনীতির নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ কোভিড পরবর্তী সময় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পর ২০২২ সালে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফের দ্বারস্থ হয়। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।

আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশের মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।