আজিজ-তাপসসহ ৫ জনের অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত শুরু
- আপডেট সময় : ০২:২০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আজিজ আহমেদ। কখনও ভাইদের কারণে, কখনো নিজ কর্মকাণ্ডে বার বার বিতর্কিত। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে কয়েকটি সংস্থা। এবার তদন্তে নামল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জেনারেল আজিজের পাশাপাশি শেখ পরিবারের সদস্য ফজলে নূর তাপস, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ, ফারজানা রূপা ও ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরীর বিরুদ্ধেও কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে তাঁদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর সিআইসি। গোয়েন্দারা জানান, অনুসন্ধানের আওতায় আসা ব্যক্তিদের জমি, বাড়ি, গাড়ি খুঁজতে সরেজমিন তদন্ত করা হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার, সাবেক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা কারণে আলোচিত শেখ পরিবারের সদস্য ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস। সরকার পতনের আগে থেকেই তাঁর দেশত্যাগের গুঞ্জন ছিল। দেশত্যাগ করলেও নানা অভিযোগে এবার বিচারে মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকেও।
আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্মকর্তা ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী। ব্যাংক লুটে যোগসাজশ, অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এছাড়া, আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক কর কমিশনার বজলুল কবির ভূঁইয়া বলেন, কারা বেশি কর ফাঁকি দিয়েছেন তাঁদের প্রায়োরিটি দিয়ে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অতিদ্রুত তা উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে হবে। সমস্ত আয় ও ব্যয়ের হিসাব পুনঃতদন্ত করা উচিত এবং আপনি জানেন যে, সরকার গত বছর যে আইনটি করেছে- একজন করদাতা তিনি যদি কর ফাঁকি দেন তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাঁর কর মামলা পুনরুজ্জীবিত করা যাবে।
গোয়েন্দারা জানান, অভিযুক্তদের স্থাবর সম্পদের খোঁজে এবার বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আয়কর নথিতে দেওয়া সম্পদ বিবরণ কতটা সঠিক তা যাচাই করা হবে।
এর আগে সামিট, ওরিয়ন, নাসা, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইসি। এরই মধ্যে এসব ব্যক্তির ব্যাংক লেনদেনের তথ্য আসতে শুরু করেছে গোয়েন্দাদের কাছে। তারা জানান, কর ফাঁকিতে অভিযুক্তদের শেয়ার লেনদেনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এজন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে।