১০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টিপাত কমতে পারে

ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে যশোর এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজ সারাদেশে বৃষ্টি হবে যা থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। তবে কাল থেকেই ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ (শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ। জানান, চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে, আরও দুটি লঘুচাপের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে গত দুই দিনে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। যেটা গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে হয়েছে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশের প্রতিটি সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর আর নদী বন্দর দুই নম্বার সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে যেটা আগামীকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-৫) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৯টায় একই এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। স্থল নিম্নচাপটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টিপাত কমতে পারে

আপডেট : ০১:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে যশোর এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজ সারাদেশে বৃষ্টি হবে যা থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। তবে কাল থেকেই ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ (শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ। জানান, চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে, আরও দুটি লঘুচাপের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে গত দুই দিনে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। যেটা গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে হয়েছে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশের প্রতিটি সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর আর নদী বন্দর দুই নম্বার সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে যেটা আগামীকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-৫) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৯টায় একই এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। স্থল নিম্নচাপটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।