ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আনচেলত্তি বললেন, জয়টা প্রাপ্য ছিল না রিয়েল মাদ্রিদের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতেই পারে রিয়েল মাদ্রিদ। লা লিগার ম্যাচে গতকাল শনিবার রাতে রেয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে ম্যাচ জুড়ে মাদ্রিদের বড় পরীক্ষা নিয়েছে সোসিয়েদাদ। তিনবার গোলের খুব কাছেও চলে গিয়েছিল দলটি। তিনবারই মাদ্রিদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট আর ক্রসবার।

কিলিয়ান এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা অবশ্য চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ গোলটা আদায় করতে পারছিলেন না কোনোভাবে। সেখানেও ভাগ্যকে পাশে পেয়েছে মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি পেনাল্টি পায় আনচেলত্তির দল। সে দুটি স্পটকিক থেকে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস।

শেষ পর্যন্ত দুই পেনাল্টি গোলের সুবাদে ২-০ ব্যবধানের স্বস্তির জয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদ। তবে ম্যাচ শেষে দলটির কোচ আনচেলত্তি জানিয়েছেন, জয়টা প্রাপ্য ছিল না মাদ্রিদের।

এ জয়ে ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে আনচেলত্তির দল। বার্সা অবশ্য একটা ম্যাচ কম খেলেছে।

সোসিয়েদাদের বিপক্ষে একাদশ সাজাতে অবশ্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে আনচেলত্তিকে। চোটের পর পুনর্বাসনে থাকা দাভিদ আলাবা, জুড বেলিংহাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, দানি সেবায়োস ও চুয়োমেনিদের পাননি আনচেলত্তি। গতকাল চোটে পড়া খেলোয়াড়দের তালিকায় যোগ হয়েছে আরেকটি নাম। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্রাহিম দিয়াস।

মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার আগে দারুণ একটি পাস দিয়েছিলেন এমবাপ্পেকে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে দিয়াসের পাস ধরে এমবাপ্পের নেওয়া শট কোনো রকমে ঠেকিয়ে দেন সোসিয়েদাদ গোলকিপার আলেক্স রেমিরো।

সোসিয়েদাদের দুর্দশার শুরুটা ম্যাচের ২৫ তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লুকা সুসিকের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩৬তম মিনিটে আরেকবার গোলবঞ্চিত হয় সোসিয়েদাদ। এবার শেরালদো বেকারের বাঁ পায়ের শট ক্রসবারে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে সুসিকের আরেকটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন তিনবার গোলের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয় সোসিয়েদাদ সমর্থকেরা।

ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে প্রথম পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আর্দা গুলারের জোরালো শট হাতে লাগে বক্সের ভেতর থাকা সোসিয়েদাদ ডিফেন্ডার সের্হিও গোমেসের। স্পটকিক থেকে ঠান্ডা মাথায় জালে বল জড়ান ভিনিসিয়ুস।

৭৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। এটিও পেনাল্টি থেকে। বক্সের ভেতর ভিনিসিয়ুস ফাউলের শিকার হলে ভিএআর যাচাই করে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করতে তেমন কষ্ট হয়নি এমবাপ্পের।

দুই পেনাল্টি গোলে পাওয়া জয় প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। কারণ সোসিয়েদাদ আমাদের খুব চেপে ধরেছিল।’ এমন জটিল পরিস্থিতি থেকেও পূর্ণাঙ্গ তিন পয়েন্ট আদায় করতে পেরেই সন্তুষ্ট আনচেলত্তি, ‘এরপরেও আমি সন্তুষ্ট। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে আত্ম-সমালোচনা করতে হবে। আমরা যেসব কাজ ভালোভাবে করতে পারছি না, তা মূল্যায়ন করার জন্য এটা ছিল একটা ভালো সুযোগ। এর সঙ্গে তিন পয়েন্ট তো আছেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আনচেলত্তি বললেন, জয়টা প্রাপ্য ছিল না রিয়েল মাদ্রিদের

আপডেট সময় : ১২:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতেই পারে রিয়েল মাদ্রিদ। লা লিগার ম্যাচে গতকাল শনিবার রাতে রেয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে ম্যাচ জুড়ে মাদ্রিদের বড় পরীক্ষা নিয়েছে সোসিয়েদাদ। তিনবার গোলের খুব কাছেও চলে গিয়েছিল দলটি। তিনবারই মাদ্রিদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট আর ক্রসবার।

কিলিয়ান এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা অবশ্য চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ গোলটা আদায় করতে পারছিলেন না কোনোভাবে। সেখানেও ভাগ্যকে পাশে পেয়েছে মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি পেনাল্টি পায় আনচেলত্তির দল। সে দুটি স্পটকিক থেকে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস।

শেষ পর্যন্ত দুই পেনাল্টি গোলের সুবাদে ২-০ ব্যবধানের স্বস্তির জয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদ। তবে ম্যাচ শেষে দলটির কোচ আনচেলত্তি জানিয়েছেন, জয়টা প্রাপ্য ছিল না মাদ্রিদের।

এ জয়ে ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে আনচেলত্তির দল। বার্সা অবশ্য একটা ম্যাচ কম খেলেছে।

সোসিয়েদাদের বিপক্ষে একাদশ সাজাতে অবশ্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে আনচেলত্তিকে। চোটের পর পুনর্বাসনে থাকা দাভিদ আলাবা, জুড বেলিংহাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, দানি সেবায়োস ও চুয়োমেনিদের পাননি আনচেলত্তি। গতকাল চোটে পড়া খেলোয়াড়দের তালিকায় যোগ হয়েছে আরেকটি নাম। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্রাহিম দিয়াস।

মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার আগে দারুণ একটি পাস দিয়েছিলেন এমবাপ্পেকে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে দিয়াসের পাস ধরে এমবাপ্পের নেওয়া শট কোনো রকমে ঠেকিয়ে দেন সোসিয়েদাদ গোলকিপার আলেক্স রেমিরো।

সোসিয়েদাদের দুর্দশার শুরুটা ম্যাচের ২৫ তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লুকা সুসিকের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩৬তম মিনিটে আরেকবার গোলবঞ্চিত হয় সোসিয়েদাদ। এবার শেরালদো বেকারের বাঁ পায়ের শট ক্রসবারে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে সুসিকের আরেকটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন তিনবার গোলের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয় সোসিয়েদাদ সমর্থকেরা।

ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে প্রথম পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আর্দা গুলারের জোরালো শট হাতে লাগে বক্সের ভেতর থাকা সোসিয়েদাদ ডিফেন্ডার সের্হিও গোমেসের। স্পটকিক থেকে ঠান্ডা মাথায় জালে বল জড়ান ভিনিসিয়ুস।

৭৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। এটিও পেনাল্টি থেকে। বক্সের ভেতর ভিনিসিয়ুস ফাউলের শিকার হলে ভিএআর যাচাই করে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করতে তেমন কষ্ট হয়নি এমবাপ্পের।

দুই পেনাল্টি গোলে পাওয়া জয় প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। কারণ সোসিয়েদাদ আমাদের খুব চেপে ধরেছিল।’ এমন জটিল পরিস্থিতি থেকেও পূর্ণাঙ্গ তিন পয়েন্ট আদায় করতে পেরেই সন্তুষ্ট আনচেলত্তি, ‘এরপরেও আমি সন্তুষ্ট। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে আত্ম-সমালোচনা করতে হবে। আমরা যেসব কাজ ভালোভাবে করতে পারছি না, তা মূল্যায়ন করার জন্য এটা ছিল একটা ভালো সুযোগ। এর সঙ্গে তিন পয়েন্ট তো আছেই।’