০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসি ম্যাজিকে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিলো মায়ামি

দীর্ঘ তিন মাস পর গায়ে তুললেন ইন্টার মায়ামির জার্সি। সবমিলিয়ে মাঠে ফিরলেন দুই মাস দুইদিন পর। ইনজুরি থেকে ফিরে আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে দুর্দান্ত ঝলক দেখিয়েছেন মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। এমন মেসিকেই দীর্ঘদিন মিস করছে বিশ্ব ফুটবল। ইনজুরি কাটিয়ে চিরচেনা মেসিকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। এতে কপাল পুড়েছে ফিলাডেলফিয়ার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ফিলাডেলফিয়াকে আতিথেয়তা দেয় ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটি মায়ামি জয় তুলে নেয় ৩-১ গোলে। জোড়া গোল করেছেন মেসি। পাশাপাশি সুয়ারেজের করা গোলে সহায়তা করেছেন। ফিলাডেলফিয়ার একমাত্র গোলটি করেছেন মিকায়েল উরে।

ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মায়ামি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করে নিজ দল ফিলাডেলফিয়াকে লিড এনে দেন উরে। এরপরই ৪ মিনিটের ঝলকে জোড়া গোল করে মেসি মায়ামি দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান।

মেসি গোল দুটি করেন ২৬ ও ৩০ মিনিটে। তার করা গোল দুটিতে সহায়তা করেছেন বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ। প্রথম গোলটিতে মেসিকে সহায়তা করেন সদ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো লুইস সুয়ারেজ, দ্বিতীয়টি উৎস ছিলেন জর্দি আলবা। পরে যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেজ। যেটিতে আবার সহায়তা করেন মেসি।

এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স মিলিয়েও শীর্ষে রয়েছে তারা।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, তাদের রক্ষণকে দারুণ ব্যস্ত রাখে সফরকারী ফিলাডেলফিয়া। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মায়ামি। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করতে পেরেছে মাত্র ৯টি। যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৩৭ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ফিলাডেলফিয়া প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করে ২১টি যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে।

প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর থেকেই তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। মেসির অনুপস্থিতিতে অবশ্য মেজর লিগ সকারে কোনো ম্যাচ হারেনি মায়ামি। তবে লিগস কাপে দুটি ম্যাচ হারে তারা। এমনকি শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি থেকে ছিটকেও যায় তার দল।

সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক

মেসি ম্যাজিকে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিলো মায়ামি

আপডেট : ০২:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দীর্ঘ তিন মাস পর গায়ে তুললেন ইন্টার মায়ামির জার্সি। সবমিলিয়ে মাঠে ফিরলেন দুই মাস দুইদিন পর। ইনজুরি থেকে ফিরে আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে দুর্দান্ত ঝলক দেখিয়েছেন মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। এমন মেসিকেই দীর্ঘদিন মিস করছে বিশ্ব ফুটবল। ইনজুরি কাটিয়ে চিরচেনা মেসিকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। এতে কপাল পুড়েছে ফিলাডেলফিয়ার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ফিলাডেলফিয়াকে আতিথেয়তা দেয় ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটি মায়ামি জয় তুলে নেয় ৩-১ গোলে। জোড়া গোল করেছেন মেসি। পাশাপাশি সুয়ারেজের করা গোলে সহায়তা করেছেন। ফিলাডেলফিয়ার একমাত্র গোলটি করেছেন মিকায়েল উরে।

ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মায়ামি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল করে নিজ দল ফিলাডেলফিয়াকে লিড এনে দেন উরে। এরপরই ৪ মিনিটের ঝলকে জোড়া গোল করে মেসি মায়ামি দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান।

মেসি গোল দুটি করেন ২৬ ও ৩০ মিনিটে। তার করা গোল দুটিতে সহায়তা করেছেন বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ। প্রথম গোলটিতে মেসিকে সহায়তা করেন সদ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো লুইস সুয়ারেজ, দ্বিতীয়টি উৎস ছিলেন জর্দি আলবা। পরে যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেজ। যেটিতে আবার সহায়তা করেন মেসি।

এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স মিলিয়েও শীর্ষে রয়েছে তারা।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, তাদের রক্ষণকে দারুণ ব্যস্ত রাখে সফরকারী ফিলাডেলফিয়া। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মায়ামি। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করতে পেরেছে মাত্র ৯টি। যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৩৭ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ফিলাডেলফিয়া প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট করে ২১টি যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে।

প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর থেকেই তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। মেসির অনুপস্থিতিতে অবশ্য মেজর লিগ সকারে কোনো ম্যাচ হারেনি মায়ামি। তবে লিগস কাপে দুটি ম্যাচ হারে তারা। এমনকি শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি থেকে ছিটকেও যায় তার দল।