ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে জন্ম নেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি বিশেষ মর্যাদায় পালন করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কুরআন তিলাওয়াতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন।

আজ সরকারি ছুটি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। গতকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেইটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। দিনটি উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিকে, যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে জশনে জুলুসের। এছাড়া, দিনটি উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

আপডেট সময় : ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে জন্ম নেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি বিশেষ মর্যাদায় পালন করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কুরআন তিলাওয়াতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন।

আজ সরকারি ছুটি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। গতকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেইটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। দিনটি উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এদিকে, যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে জশনে জুলুসের। এছাড়া, দিনটি উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন।