১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৯জনের নামে বগুড়া সদর থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০জনকে।

মামলার বাদী শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা কাজীপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে ও সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র শাওন ইসলাম।

মুঠোফোনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ।

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় আরও ৬টি মামলা করা হয়। ওই ৬টি মামলার মধ্যে ৫টি হত্যা এবং অপর একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ কলেজ ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, বগুড়া বাস মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মতিন সরকার, কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখ, আরিফুর রহমান আরিফ, সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেন, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল, তুফান সরকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ আহম্মেদ, তৌহিদ, স্বপন সরকার, সোহাগ সরকার, মশিউর রহমান মন্টি, পিয়াল, নূর আলম নয়ন, বেনজিরসহ অনেকে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ার বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় মিছিলের ভেতরে গেলে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এজাহারের ৪-৭ নং আসামিদের নেতৃত্বে বাকি আসামিরা পেট্রোল বোমা, ককটেল, পিস্তল, কাটা রাইফেল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। মামলার বাদীসহ জনতারা নিষেধ করলে মামলার ৩৮ নং আসামি আল রাজী জুয়েল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাদীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলি বাদীর পায়ে লাগে। একই সঙ্গে মামলার ২২ নং আসামি জাকারিয়া আদিল তার সট গান দিয়েও এলোপাথারি গুলি করে তবে বাদী সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এরপর বাদীকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ১২ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বাদী তার বাবার মাধ্যমে সদর থানায় এজাহার প্রেরণ করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ১০:২১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৯জনের নামে বগুড়া সদর থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০জনকে।

মামলার বাদী শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা কাজীপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে ও সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র শাওন ইসলাম।

মুঠোফোনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ।

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় আরও ৬টি মামলা করা হয়। ওই ৬টি মামলার মধ্যে ৫টি হত্যা এবং অপর একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ কলেজ ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, বগুড়া বাস মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মতিন সরকার, কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখ, আরিফুর রহমান আরিফ, সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেন, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল, তুফান সরকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ আহম্মেদ, তৌহিদ, স্বপন সরকার, সোহাগ সরকার, মশিউর রহমান মন্টি, পিয়াল, নূর আলম নয়ন, বেনজিরসহ অনেকে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ার বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় মিছিলের ভেতরে গেলে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এজাহারের ৪-৭ নং আসামিদের নেতৃত্বে বাকি আসামিরা পেট্রোল বোমা, ককটেল, পিস্তল, কাটা রাইফেল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। মামলার বাদীসহ জনতারা নিষেধ করলে মামলার ৩৮ নং আসামি আল রাজী জুয়েল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাদীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলি বাদীর পায়ে লাগে। একই সঙ্গে মামলার ২২ নং আসামি জাকারিয়া আদিল তার সট গান দিয়েও এলোপাথারি গুলি করে তবে বাদী সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এরপর বাদীকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ১২ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বাদী তার বাবার মাধ্যমে সদর থানায় এজাহার প্রেরণ করে।