ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাবেক এমপি এনামুলের সম্পদের পাহাড়!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্যের জমি দখলসহ অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাঁর অপকর্ম সম্পর্কে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, নিজ সন্ত্রাসী বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন সাবেক এমপি এনামুল।

২০০৮ সালে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারসহ নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ১৫ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার ওপরে। আর ২০০৮ সালে যেখানে সংসদ সদস্যের বার্ষিক আয় ছিল ২০ লাখ টাকা, ১৫ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকায়।

অভিযোগ আছে, সংসদ সদস্য হয়ে অনিয়ম করে পেয়েছেন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন। আর স্থানীয়দের অভিযোগ, এনামুল হক অন্যের জমি দখল করেছেন। তাঁর জামির পরিমান শত বিঘার বেশি। একজন ভুক্তভোগী বলেন, তাঁর কাছ থেকে তিন বিঘা জমি নিয়েছেন এনামুল। এ জন্য কোনো টাকা দেননি তিনি। করেছেন জবরদখল। এমন অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন।

দুদককে শক্তিশালী না করা পর্যন্ত এ ধরনের অনিয়ম থেকে মুক্তি মিলবে না বলে মনে করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। আর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, দুর্নীতি দমনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এক্ষেত্রে যারা পদক্ষেপ নিতে পারে, যেমন দুদক। তাদের কিন্তু বাস্তবে শক্তিশালী করা হয়েছে। তাদের শক্তিশালী করা হয়েছে কাগজে-কলমে।’

সুজনের রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এগুলোকে যদি জবাবদিহিতার আওতায় আনা হতো এবং প্রতি এক বছর পরপর যদি পর্যালোচনা করা হতো। তাহলে কিন্তু সংসদ সদস্যরা এত অঢেল সম্পত্তির মালিক হতে পারতো না।’

এরই মধ্যে এনামুল হক ও তাঁর পরিবারের সম্পদ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক এমপি এনামুলের সম্পদের পাহাড়!

আপডেট সময় : ০১:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্যের জমি দখলসহ অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাঁর অপকর্ম সম্পর্কে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, নিজ সন্ত্রাসী বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন সাবেক এমপি এনামুল।

২০০৮ সালে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারসহ নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ১৫ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার ওপরে। আর ২০০৮ সালে যেখানে সংসদ সদস্যের বার্ষিক আয় ছিল ২০ লাখ টাকা, ১৫ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকায়।

অভিযোগ আছে, সংসদ সদস্য হয়ে অনিয়ম করে পেয়েছেন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন। আর স্থানীয়দের অভিযোগ, এনামুল হক অন্যের জমি দখল করেছেন। তাঁর জামির পরিমান শত বিঘার বেশি। একজন ভুক্তভোগী বলেন, তাঁর কাছ থেকে তিন বিঘা জমি নিয়েছেন এনামুল। এ জন্য কোনো টাকা দেননি তিনি। করেছেন জবরদখল। এমন অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন।

দুদককে শক্তিশালী না করা পর্যন্ত এ ধরনের অনিয়ম থেকে মুক্তি মিলবে না বলে মনে করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। আর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, দুর্নীতি দমনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এক্ষেত্রে যারা পদক্ষেপ নিতে পারে, যেমন দুদক। তাদের কিন্তু বাস্তবে শক্তিশালী করা হয়েছে। তাদের শক্তিশালী করা হয়েছে কাগজে-কলমে।’

সুজনের রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এগুলোকে যদি জবাবদিহিতার আওতায় আনা হতো এবং প্রতি এক বছর পরপর যদি পর্যালোচনা করা হতো। তাহলে কিন্তু সংসদ সদস্যরা এত অঢেল সম্পত্তির মালিক হতে পারতো না।’

এরই মধ্যে এনামুল হক ও তাঁর পরিবারের সম্পদ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।