ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্রে রাঙামাটিতে সহিংসতা: হাসান আরিফ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের বাইরের একটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার রাঙামাটির সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এ দুই উপদেষ্টা। পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।

শুক্রবারের সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঙামাটির ঘটনায় যারা জড়িত, তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত টিম গঠন করা হবে। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবে অবনতি হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কেউ পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করলে তাদের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এ সহিংস ঘটনায় যারা জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এর আগে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে রাঙামাটি পৌঁছেন তিন উপদেষ্টা। অন্য উপদেষ্টা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। রাঙামাটিতে পৌঁছে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের সম্মেলন কক্ষে সভা করেন তাঁরা।

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আব্দুল আজিজ, পুলিশ মহাপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি, এনএসআই ডিজি আবু মোহাম্মদ সারোয়ার ফরিদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়, বিজিবি রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আনেয়ার লতিফ খানসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, শুক্রবারের সহিংস ঘটনার অবস্থা বর্ণনা করে বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা বলেন, মূলত গুজব ছড়িয়ে রাঙামাটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয়।

এদিকে শুক্রবার রাঙামাটি শহরের সহিংসতা ঘটনায় এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিবেশ। বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট গনপরিবহণ। নৌ যান চলাচলও বন্ধ। মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কোথাও কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্রে রাঙামাটিতে সহিংসতা: হাসান আরিফ

আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের বাইরের একটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার রাঙামাটির সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এ দুই উপদেষ্টা। পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।

শুক্রবারের সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঙামাটির ঘটনায় যারা জড়িত, তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত টিম গঠন করা হবে। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবে অবনতি হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কেউ পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করলে তাদের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এ সহিংস ঘটনায় যারা জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এর আগে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে রাঙামাটি পৌঁছেন তিন উপদেষ্টা। অন্য উপদেষ্টা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। রাঙামাটিতে পৌঁছে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের সম্মেলন কক্ষে সভা করেন তাঁরা।

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আব্দুল আজিজ, পুলিশ মহাপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি, এনএসআই ডিজি আবু মোহাম্মদ সারোয়ার ফরিদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়, বিজিবি রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আনেয়ার লতিফ খানসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, শুক্রবারের সহিংস ঘটনার অবস্থা বর্ণনা করে বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা বলেন, মূলত গুজব ছড়িয়ে রাঙামাটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয়।

এদিকে শুক্রবার রাঙামাটি শহরের সহিংসতা ঘটনায় এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিবেশ। বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট গনপরিবহণ। নৌ যান চলাচলও বন্ধ। মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কোথাও কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।