১১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্যিক ৯ ব্যাংকের চলতি হিসাবে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি

দেশের বেসরকারি খাতের ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ (সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর মধ্যে এসআলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি নাজুক। এসব ব্যাংক উঠে দাঁড়াতে সহায়তা ছাড়াও কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকখাতের বিষফোড়া হয়ে থাকা এসআলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো আগে থেকেই তারল্য সংকটে ধুকছে। আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবে যে অর্থ রাখতে হয় সেটি রাখতে পারছিলো না ব্যাংকগুলো।

মূলত এই হিসাবটি ব্যাংকের সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত হয়। যদি কোন ব্যাংক আমানত ফেরত দিতে না পারে এই অর্থ ব্যবহৃত হয় সংকট উত্তরণে। কিন্তু গত দু বছর কোন গ্যারান্টি অর্থই রাখতে পারছে না ব্যাংকগুলো। উল্টো বিগত গভর্নর রউফ তালুকদারের সময় টাকা ছাপিয়ে দিলেও কোন ইতিবাচক ফল মেলেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে, বেসরকারি ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের।

চলতি হিসাবে ঋণাত্মক থাকা ব্যাংকগুলো হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র জানান, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্যারান্টিতে ৭টি আবেদন জমা পড়েছে। সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে ব্যাংকে আমানত ও বিনিয়োগ ফেরাতে।

এদিকে ব্যাংক খাতে এডিবির ১.৩ বিলিয়ন ডলারে কোন সুদ থাকবে না বাংলাদেশের জন্য। যা পুরোটাই সংস্কার পরিকল্পনায় ব্যয় হবে।

বাণিজ্যিক ৯ ব্যাংকের চলতি হিসাবে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি

আপডেট : ০৬:১৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের বেসরকারি খাতের ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ (সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর মধ্যে এসআলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি নাজুক। এসব ব্যাংক উঠে দাঁড়াতে সহায়তা ছাড়াও কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকখাতের বিষফোড়া হয়ে থাকা এসআলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো আগে থেকেই তারল্য সংকটে ধুকছে। আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবে যে অর্থ রাখতে হয় সেটি রাখতে পারছিলো না ব্যাংকগুলো।

মূলত এই হিসাবটি ব্যাংকের সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত হয়। যদি কোন ব্যাংক আমানত ফেরত দিতে না পারে এই অর্থ ব্যবহৃত হয় সংকট উত্তরণে। কিন্তু গত দু বছর কোন গ্যারান্টি অর্থই রাখতে পারছে না ব্যাংকগুলো। উল্টো বিগত গভর্নর রউফ তালুকদারের সময় টাকা ছাপিয়ে দিলেও কোন ইতিবাচক ফল মেলেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে, বেসরকারি ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের।

চলতি হিসাবে ঋণাত্মক থাকা ব্যাংকগুলো হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র জানান, তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্যারান্টিতে ৭টি আবেদন জমা পড়েছে। সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে ব্যাংকে আমানত ও বিনিয়োগ ফেরাতে।

এদিকে ব্যাংক খাতে এডিবির ১.৩ বিলিয়ন ডলারে কোন সুদ থাকবে না বাংলাদেশের জন্য। যা পুরোটাই সংস্কার পরিকল্পনায় ব্যয় হবে।