০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমন কোনো কাজ নয়, যাতে স্বৈরাচার ফিরে আসে: তারেক রহমান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৯:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৪ দেখেছেন

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোন কাজ করা উচিত হবে না যাতে স্বৈরাচার সরকারের দোসররা ফিরে আসার সুযোগ পায় বলে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। এতে যোগ দেন আশপাশের এলাকার নেতা-কর্মীরাও।

সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যে কাজ সেটি করতে গিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব যাতে না হয় যাতে করে স্বৈরাচার আবার কোনো ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পায়। স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে নেই। তারা তাদের ষড়যন্ত্রকে অব্যাহত রেখেছে।’

তারেক বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছে তা পূরণ করতে হবে। স্বৈরাচারের পতন হলেও তার দোসররা নানা চক্রান্ত করছে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা হিসেবে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে। শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে আমরা তা নির্দিষ্ট করব, আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড প্রত্যেকটি পরিবারকে করে দিব। এই ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মায়ের অথবা গৃহিণীর নামে। এই কাজটি প্রথমে গ্রাম থেকে তারপর আস্তে আস্তে শহর থানা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে করবো। এই ফ্যামিলি কার্ডে একটি পরিবারের মাসিক প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কিছু অংশ এই কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

তিনি কিশোরগঞ্জ জেলাকে একটি সম্ভাবনাময় জেলা উল্লেখ করে বলেন, এ জেলায় উৎপাদিত ধান বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। তাই কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে এ উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে । তিনি হাওরের মাছ ও পনির বিদেশে রপ্তানি করে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে অপরদিকে নতুন করে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে।

জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য আপনারা সংগ্রাম করেছেন। জুলাই-আগস্টেই শহীদ হয়েছেন হাজারের ওপর মানুষ। স্বৈরাচার আমাদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। সেই জন্য তারা আত্মত্যাগ করেছেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ নতুন প্রত্যাশা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আগামীতে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

এমন কোনো কাজ নয়, যাতে স্বৈরাচার ফিরে আসে: তারেক রহমান

আপডেট : ০৯:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোন কাজ করা উচিত হবে না যাতে স্বৈরাচার সরকারের দোসররা ফিরে আসার সুযোগ পায় বলে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জে বিএনপির জনসমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। এতে যোগ দেন আশপাশের এলাকার নেতা-কর্মীরাও।

সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যে কাজ সেটি করতে গিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব যাতে না হয় যাতে করে স্বৈরাচার আবার কোনো ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পায়। স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে নেই। তারা তাদের ষড়যন্ত্রকে অব্যাহত রেখেছে।’

তারেক বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছে তা পূরণ করতে হবে। স্বৈরাচারের পতন হলেও তার দোসররা নানা চক্রান্ত করছে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা হিসেবে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে। শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে আমরা তা নির্দিষ্ট করব, আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড প্রত্যেকটি পরিবারকে করে দিব। এই ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মায়ের অথবা গৃহিণীর নামে। এই কাজটি প্রথমে গ্রাম থেকে তারপর আস্তে আস্তে শহর থানা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে করবো। এই ফ্যামিলি কার্ডে একটি পরিবারের মাসিক প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কিছু অংশ এই কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

তিনি কিশোরগঞ্জ জেলাকে একটি সম্ভাবনাময় জেলা উল্লেখ করে বলেন, এ জেলায় উৎপাদিত ধান বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। তাই কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে এ উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে । তিনি হাওরের মাছ ও পনির বিদেশে রপ্তানি করে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে অপরদিকে নতুন করে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে।

জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য আপনারা সংগ্রাম করেছেন। জুলাই-আগস্টেই শহীদ হয়েছেন হাজারের ওপর মানুষ। স্বৈরাচার আমাদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। সেই জন্য তারা আত্মত্যাগ করেছেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ নতুন প্রত্যাশা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আগামীতে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।