০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ্বংসস্তূপে লাশের পর লাশ, লেবাননে নিহত বেড়ে ২৭৪

লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইরাস আবিয়াদ এই তথ্য জানান। আজ সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী বসতবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে হামলা করে। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া মানুষদের ওপরও হামলা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, নিহতদের মধ্যে ২১ জন শিশু ও ৩৯ জন নারী। এ ছাড়া দুজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি। সোমবার সকালে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে এই হামলা চালানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ যে যেভাবে পারছে পালিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ। তার মধ্য থেকেই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাশ। আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন অনেকে।

হামলার বিষয় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা হিজবুল্লাহর স্থাপনা থেকে দুরে থাকার জন্য ট্রেক্সট ও ভয়েস ম্যাসেজে সতর্কবার্তা পান। লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর অফিসেও এ ধরনের ম্যাসেজ এবং ফোনকল এসেছে।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর অগেরো জানিয়েছে, এ ধরনের প্রায় ৮০ হাজার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রয়টার্সকে বলেন, মানসিক চাপ তৈরি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

বিবিসি বলছে, হামলার পর বৈরুতের সিটি সেন্টারের কাছের সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। অনেক বাসিন্দাকেই শহর ছাড়তে দেখা গেছে। শহরটির হামরা নামক স্থানের বাসিন্দাদেরও ঘরবাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে।

এই এলাকাটিতেই তথ্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা আছে। জায়গাটিতে হিজবুল্লাহ তেমন একটা সক্রিয় নয়।

ধ্বংসস্তূপে লাশের পর লাশ, লেবাননে নিহত বেড়ে ২৭৪

আপডেট : ০৯:৫১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইরাস আবিয়াদ এই তথ্য জানান। আজ সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী বসতবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে হামলা করে। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া মানুষদের ওপরও হামলা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, নিহতদের মধ্যে ২১ জন শিশু ও ৩৯ জন নারী। এ ছাড়া দুজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি। সোমবার সকালে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে এই হামলা চালানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ যে যেভাবে পারছে পালিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ। তার মধ্য থেকেই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাশ। আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন অনেকে।

হামলার বিষয় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা হিজবুল্লাহর স্থাপনা থেকে দুরে থাকার জন্য ট্রেক্সট ও ভয়েস ম্যাসেজে সতর্কবার্তা পান। লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর অফিসেও এ ধরনের ম্যাসেজ এবং ফোনকল এসেছে।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর অগেরো জানিয়েছে, এ ধরনের প্রায় ৮০ হাজার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রয়টার্সকে বলেন, মানসিক চাপ তৈরি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

বিবিসি বলছে, হামলার পর বৈরুতের সিটি সেন্টারের কাছের সড়কে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। অনেক বাসিন্দাকেই শহর ছাড়তে দেখা গেছে। শহরটির হামরা নামক স্থানের বাসিন্দাদেরও ঘরবাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে।

এই এলাকাটিতেই তথ্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা আছে। জায়গাটিতে হিজবুল্লাহ তেমন একটা সক্রিয় নয়।