০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লর্ডসে ‘ইংলিশ’ ঝড়ে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

লর্ডসে বৃষ্টি ও ভেজা মাঠের কারণে ম্যাচ শুরু হয় দুই ঘণ্টারও বেশি বিলম্বে। কিন্তু কে জানত, আরও বড় ঝড় অপেক্ষা করছে লর্ডসে। আর সে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে শুধু অস্ট্রেলিয়া! ৩৯ ওভারে নেমে আসা সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর ঝড় তুলে ৫ উইকেটে ৩১২ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

রান তাড়ায় আবার ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৮৬ রানের বড় জয় পায় ইংলিশরা। একইসঙ্গে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরান হ্যারি ব্রুক-লিয়াম লিভিংস্টোনরা। আগামীকাল রোববার ব্রিস্টলে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। সে ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ভাগ্য।

গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বোলারের ওপর দিয়ে ঝড় গেছে। তবে দৃশ্যমান বড় ঝড়টা গেছে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্কের ওপর দিয়ে। আগের ৭ ওভারে ৪২ রান দেওয়া স্টার্ক শেষ ওভারেই দিয়েছেন ২৮ রান। ইংলিশ ব্যাটসম্যান লিয়াম লিভিংস্টোন পুরো ওভারটা একাই খেলে ৪ ছক্কা ও ১টি চার হাঁকিয়েছেন। এতে একটা লজ্জার রেকর্ডে উঠে যায় স্টার্কের নাম। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ওয়ানডেতে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন স্টার্ক।

অথচ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল সাদামাটা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান তোলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইনিংসের ১০ম ওভারে দলীয় ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ওপেনার ফিল সল্ট ২৭ বলে ২২ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। তিনে নামা উইল জ্যাকসও (১৪ বলে ১০ রান) খোলস ছেড়ে বের হওয়ার আগেই আউট হয়েছেন। ১৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৭২ রান।

ঝড়ের শুরুটা এরপর থেকে। বেন ডাকেট-হ্যারি ব্রুকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৩ বলে ৭৯ রান পায় ইংল্যান্ড। দলীয় ১৫০ রানে ডাকেট (৬২ বলে ৬৩ রান) আউট হলেও অপরপ্রান্তে রানের গতি একই রাখার দায়িত্ব নেন ইংলিশ অধিনায়ক ব্রুক। এরপর জেমি স্মিথের সঙ্গে ৪র্থ উইকেট জুটিতে তোলেন ৪৭ বলে ৭৫ রান। দলকে ২২৫ রানে রেখে আউট হন ৫৮ বলে ৮৭ রান করা ব্রুক। পরের ওভারে আউট হন স্মিথও (২৮ বলে ৩৯ রান)।

এরপর লিভিংস্টোন ঝড় দেখে লর্ডস। মারকুটে এ ব্যাটসম্যানের ২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৩১২ রান থামে ইংলিশরা। যা লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশদের সর্বোচ্চ স্কোর।

জবাবে শুরুটা মোটেও খারাপ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। মিচেল মার্শ (৩৪ বলে ২৮রান) ও ট্রাভিস হেডের (২৩ বলে ৩৪ রান) উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান পায় সফরকারীরা। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়। সে বিপর্যয় থামে ইনিংসের ২৪.৪ ওভারে। ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এতেও একটা লজ্জার রেকর্ডে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ওপেনিং জুটিতে অন্তত ৫০ রান পাওয়া ম্যাচে এর আগে কখনোই এত কম রানে গুটিয়ে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। আগের সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল ১৩৯ রানের। ১৯৮৫ সালে শারজাতে তে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।

১৮৬ রানের হার রানের দিক থেকে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বড় পরাজয়। অন্যদিকে রান বিবেচনায় লর্ডসে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। এর আগে ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ২০২ রানে জিতেছিল ইংলিশরা।

লর্ডসে ‘ইংলিশ’ ঝড়ে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ১২:০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লর্ডসে বৃষ্টি ও ভেজা মাঠের কারণে ম্যাচ শুরু হয় দুই ঘণ্টারও বেশি বিলম্বে। কিন্তু কে জানত, আরও বড় ঝড় অপেক্ষা করছে লর্ডসে। আর সে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে শুধু অস্ট্রেলিয়া! ৩৯ ওভারে নেমে আসা সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর ঝড় তুলে ৫ উইকেটে ৩১২ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

রান তাড়ায় আবার ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৮৬ রানের বড় জয় পায় ইংলিশরা। একইসঙ্গে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরান হ্যারি ব্রুক-লিয়াম লিভিংস্টোনরা। আগামীকাল রোববার ব্রিস্টলে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। সে ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ভাগ্য।

গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বোলারের ওপর দিয়ে ঝড় গেছে। তবে দৃশ্যমান বড় ঝড়টা গেছে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্কের ওপর দিয়ে। আগের ৭ ওভারে ৪২ রান দেওয়া স্টার্ক শেষ ওভারেই দিয়েছেন ২৮ রান। ইংলিশ ব্যাটসম্যান লিয়াম লিভিংস্টোন পুরো ওভারটা একাই খেলে ৪ ছক্কা ও ১টি চার হাঁকিয়েছেন। এতে একটা লজ্জার রেকর্ডে উঠে যায় স্টার্কের নাম। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ওয়ানডেতে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন স্টার্ক।

অথচ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল সাদামাটা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান তোলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইনিংসের ১০ম ওভারে দলীয় ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ওপেনার ফিল সল্ট ২৭ বলে ২২ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। তিনে নামা উইল জ্যাকসও (১৪ বলে ১০ রান) খোলস ছেড়ে বের হওয়ার আগেই আউট হয়েছেন। ১৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৭২ রান।

ঝড়ের শুরুটা এরপর থেকে। বেন ডাকেট-হ্যারি ব্রুকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৩ বলে ৭৯ রান পায় ইংল্যান্ড। দলীয় ১৫০ রানে ডাকেট (৬২ বলে ৬৩ রান) আউট হলেও অপরপ্রান্তে রানের গতি একই রাখার দায়িত্ব নেন ইংলিশ অধিনায়ক ব্রুক। এরপর জেমি স্মিথের সঙ্গে ৪র্থ উইকেট জুটিতে তোলেন ৪৭ বলে ৭৫ রান। দলকে ২২৫ রানে রেখে আউট হন ৫৮ বলে ৮৭ রান করা ব্রুক। পরের ওভারে আউট হন স্মিথও (২৮ বলে ৩৯ রান)।

এরপর লিভিংস্টোন ঝড় দেখে লর্ডস। মারকুটে এ ব্যাটসম্যানের ২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৩১২ রান থামে ইংলিশরা। যা লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশদের সর্বোচ্চ স্কোর।

জবাবে শুরুটা মোটেও খারাপ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। মিচেল মার্শ (৩৪ বলে ২৮রান) ও ট্রাভিস হেডের (২৩ বলে ৩৪ রান) উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান পায় সফরকারীরা। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়। সে বিপর্যয় থামে ইনিংসের ২৪.৪ ওভারে। ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এতেও একটা লজ্জার রেকর্ডে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ওপেনিং জুটিতে অন্তত ৫০ রান পাওয়া ম্যাচে এর আগে কখনোই এত কম রানে গুটিয়ে যায়নি অস্ট্রেলিয়া। আগের সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল ১৩৯ রানের। ১৯৮৫ সালে শারজাতে তে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।

১৮৬ রানের হার রানের দিক থেকে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বড় পরাজয়। অন্যদিকে রান বিবেচনায় লর্ডসে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। এর আগে ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ২০২ রানে জিতেছিল ইংলিশরা।