সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১৫ বছরে ৬৩৫০ শতাংশ
- আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর নেয়ামতপুরের কৃষকের ছেলে সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের আড়তদার হিসেবে শুরু করেন তাঁর কর্মজীবন। ছাত্রজীবন থেকেই জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে।
২০০৮ সালে নওগাঁ-১ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে জয় এবং ২০১৯ সালে খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর খুলে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা। অভিযোগ আছে, সারা দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকত সাধনের সিন্ডিকেট। এ ছাড়া নিজ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখল সবকিছুই ছিল সাধন পরিবারের হাতে।
সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রীর একের পর এক দুর্নীতির তথ্যে বিস্মিত খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারীরা। দুদক বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সাধনের সম্পদ বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫০ শতাংশ। নামে-বেনামে রয়েছে আরও অনেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ।
এ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতি অবারিতভাবে করা যায়। এবং এই সুযোগটি নেওয়ার জন্য যারা ক্ষমতায় থাকে তারা বারবার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।’
দুদক বলছে, কাগজে কলমে মাত্র ৯ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য থাকলেও সাধনের সম্পদের পরিমাণ ১৫ বছরে বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫০ শতাংশ। এছাড়া তাদের হাতে রয়েছে বিদেশে অর্থপাচারের নানা তথ্য।
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, ‘অনেকগুলো অভিযোগ এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিচ্ছি এবং অনুসন্ধান করছি। অনুসন্ধানে যদি দেখা যায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগটি প্রমাণিত, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
শুধু দুর্নীতি নয়, ২০১৯ সালে বড় মেয়ে কৃষ্ণা রানী মজুমদারের স্বামী ডা. রাজনকে হত্যা ও ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগও রয়েছে সাধন চন্দ্রের বিরুদ্ধে।