০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ মাইলফলক: বিশ্লেষক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:১৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ দেখেছেন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কারে তরুণদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি বৈশ্বিক নানা সংকট সমাধানের তাগিদ দেওয়ায় এ বক্তব্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নানা সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথমবার সরকারপ্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের মূল লক্ষ্য শক্তিশালী অর্থনীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। যে তিন শূন্যের ধারণা তিনি তুলে ধরেছেন সেটি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের যে ২৫ লাখ তরুণ এখনও শ্রম বাজারে ঢুকতে পারে নাই । তারা যদি কাজ না খুঁজে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন তাহলে সামাজিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিশ্ব দরবারে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখন পুরো বিশ্ব অবহিত। এখন তারা বাংলাদেশকে যার যার জায়গা থেকে সহায়তা করতে চায়।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য সময়োপযোগী, বলছেন বিশ্লেষকেরা। তবে, এক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের সদিচ্ছার অভাবের কথা তুলে ধরেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ড. ইউনূস গাজায় গণহত্যা, ইউক্রেনে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এসব বিষয়ে ধনী দেশগুলোর যে ভূমিকা নেওয়া উচিত সেটি কিন্তু আমরা দেখছি না।

জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অর্থায়ন, গবেষণা-উন্নয়ন ও সব ভ্যাকসিন উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েও অধিবেশনে সাড়া ফেলেন ড. ইউনূস।

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ মাইলফলক: বিশ্লেষক

আপডেট : ০১:১৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কারে তরুণদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি বৈশ্বিক নানা সংকট সমাধানের তাগিদ দেওয়ায় এ বক্তব্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নানা সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথমবার সরকারপ্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের মূল লক্ষ্য শক্তিশালী অর্থনীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। যে তিন শূন্যের ধারণা তিনি তুলে ধরেছেন সেটি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের যে ২৫ লাখ তরুণ এখনও শ্রম বাজারে ঢুকতে পারে নাই । তারা যদি কাজ না খুঁজে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন তাহলে সামাজিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিশ্ব দরবারে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখন পুরো বিশ্ব অবহিত। এখন তারা বাংলাদেশকে যার যার জায়গা থেকে সহায়তা করতে চায়।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য সময়োপযোগী, বলছেন বিশ্লেষকেরা। তবে, এক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের সদিচ্ছার অভাবের কথা তুলে ধরেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ড. ইউনূস গাজায় গণহত্যা, ইউক্রেনে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এসব বিষয়ে ধনী দেশগুলোর যে ভূমিকা নেওয়া উচিত সেটি কিন্তু আমরা দেখছি না।

জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অর্থায়ন, গবেষণা-উন্নয়ন ও সব ভ্যাকসিন উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েও অধিবেশনে সাড়া ফেলেন ড. ইউনূস।