০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্য অধিকার আইনে বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে : টিআইবি পরিচালক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনে বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে। ফলে আমরা মনে করি তথ্য অধিকার আইনকে এখন ঢেলে সাজানো উচিত। এক্ষেত্রে সরকারপক্ষ এবং অংশীজনদের একত্রে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য কমিশনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হলো তথ্য কমিশনের পরিচালনার ভার শুধু কমিশনারের ওপর থাকবে এমনটা না। সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলকে নিয়েও ভাবতে হবে। তারা যদি আমলাতন্ত্রের মধ্যে আটকা থাকে, তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে যখন তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়, তখন সেটাকে একটা অর্জন হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল এই অর্জন কেবলই কাগজেকলমে, তার প্রাপ্তিটা সরাসরি পাওয়া যায়নি। বিশাল এক জনগোষ্ঠী এই আইনের ব্যবহার ও উপযোগিতা সম্পর্কে অবহিত ছিল না। নইলে কেন তথ্য চাইতে গেলে একজন মানুষকে মামলা-হামলার শিকার হতে হবে। কারণ হচ্ছে, এই আমলাতন্ত্রের মধ্যে এখনো ব্রিটিশ শাসনামলের মতো এক গোপনীয়তা কাজ করে। কর্মকর্তারা মনে করেন তথ্যের মালিক কেবল তিনিই, অথচ তথ্যের মালিক কিন্তু জনগণ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সংস্কৃতি আর থাকবে না। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা যাতে জনগণ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালক এস এম কামরুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

তথ্য অধিকার আইনে বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে : টিআইবি পরিচালক

আপডেট : ০১:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনে বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে। ফলে আমরা মনে করি তথ্য অধিকার আইনকে এখন ঢেলে সাজানো উচিত। এক্ষেত্রে সরকারপক্ষ এবং অংশীজনদের একত্রে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্য কমিশনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হলো তথ্য কমিশনের পরিচালনার ভার শুধু কমিশনারের ওপর থাকবে এমনটা না। সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলকে নিয়েও ভাবতে হবে। তারা যদি আমলাতন্ত্রের মধ্যে আটকা থাকে, তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে যখন তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়, তখন সেটাকে একটা অর্জন হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল এই অর্জন কেবলই কাগজেকলমে, তার প্রাপ্তিটা সরাসরি পাওয়া যায়নি। বিশাল এক জনগোষ্ঠী এই আইনের ব্যবহার ও উপযোগিতা সম্পর্কে অবহিত ছিল না। নইলে কেন তথ্য চাইতে গেলে একজন মানুষকে মামলা-হামলার শিকার হতে হবে। কারণ হচ্ছে, এই আমলাতন্ত্রের মধ্যে এখনো ব্রিটিশ শাসনামলের মতো এক গোপনীয়তা কাজ করে। কর্মকর্তারা মনে করেন তথ্যের মালিক কেবল তিনিই, অথচ তথ্যের মালিক কিন্তু জনগণ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সংস্কৃতি আর থাকবে না। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা যাতে জনগণ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালক এস এম কামরুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।