পুরানো বন্ধুকে অভ্যুত্থানের গল্প শোনালেন ড. ইউনূস
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
পুরানো বন্ধু মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গল্প শোনালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার দুপুর ২টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় আনোয়ার ইব্রাহিমকে স্বাগত জানান ড. ইউনূস। বিমানবন্দরেই পুরানো বন্ধুকে স্বাগত জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বলেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
এ সময় ছাত্র জনতার গণ আন্দোলন সম্বন্ধে আনোয়ার ইব্রাহিমকে অবগত করেন ড. ইউনূস। তুলে ধরেন ছাত্র ও জনতার ত্যাগের কথা। এছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অপশাসনের কথাও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দীর্ঘ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে একই গাড়িতে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার কথাও স্মরণ করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি বিদেশি কোনো সরকার প্রধানের প্রথম ঢাকা সফর।
এরপর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন হবে। এ ছাড়া আনোয়ার ইব্রাহিম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আজ বিকেলে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূসকে দ্রুত অভিনন্দন জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বন্ধু ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দেশটির ৫৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদের সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।