শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছবির নায়ক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ মল্লিকার সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা বিকল্প পথ নির্মাণ না করে সেতু ভাঙন, ভোগান্তি অধিনায়ক হয়েই কাল মাঠে নামছেন সাকিব ডিবি কার্যালয়ে কোনো আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: ডিবিপ্রধান বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হলে ব্যর্থ হবে জাতি: মির্জা ফখরুল কোনো অবস্থাতেই দেশের মানুষকে নিরাশ করা যাবে না: কর্নেল অলি গডফাদার ও টাকা পাচারকারীদের জননী শেখ হাসিনা : রিজভী ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৬০০ জনকে গুলি করে মারল আল-কায়েদা লেবাননে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক বার্তা তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে মূলধন হারাবে ১৬ ব্যাংক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয় ছাপিয়ে রান আউট বিতর্ক একটি ইলিশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে হইচই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল প্রচণ্ড যুদ্ধ এবার ইয়েমেনে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সবগুলো গ্যাসক্ষেত্র একযোগে ধ্বংস করা হবে: আইআরজিসি
ব্রেকিং নিউজ :
রোববার পর্যন্ত সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার আভাস আবহাওয়া অফিসের, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বেশি বৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা ::: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বোরাঘাট নদীর বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ১২ ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী; তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত ::: কুড়িগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড ::: শেরপুরে রাতভর বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশী নদীর পানি বেড়েছে, লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা ::: নেত্রকোণায় সোমেশ্বরীর দুর্গাপুর পয়েন্ট ও কংসের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে

তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে মূলধন হারাবে ১৬ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক / ২১ জন দেখেছেন
আপডেট : শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে মূলধন হারাবে ১৬ ব্যাংক

শুধুমাত্র উৎপাদন শিল্পে খেলাপি ঋণে আটকে আছে ৭ হাজার ৫৬৯ বিলিয়ন টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আর মাত্র তিন শতাংশ বাড়লেই পাঁচটি ব্যাংক তাদের সিআরএআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। এমনকি তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে ১৬টি ব্যাংক হারাবে তাদের মূলধন। নাম না প্রকাশের শর্তে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘রাইট অফ’ এ যেতে পারছে না ব্যাংকগুলো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুফু, অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল চাচা আর বেনজীর আহমেদ কাজিন। ব্যাংকপাড়ায় এমনটাই পরিচয় পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের।

বিগত সরকারের শেষ ১৩ বছরে পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতে তার দখলদারিত্বে পদ্মা ব্যাংকে ধস নামে। এমনকি বিভিন্ন ব্যাংকেরও পরিচালনা পর্ষদের কারসাজি ও নিজের লোক বসানোর অভিযোগও রয়েছে। সালমান এফ রহমান, বিএবির চেয়ারম্যান ও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সাথে সখ্যতায় ভুল বিনিয়োগ কারসাজিতেও নাম আছে। আছে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগ।

দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মামলা থাকলেও আর্থিক খাতে নেই কোনো অভিযোগ। কাজিন বেনজিরের মতো সবার চোখে ধুলো দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন চৌধুরী নাফিজ।

বিগত সরকারের লাগামহীন সুবিধার সুযোগে এখন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন ব্যাংক্যারর্স আর ব্যবসায়ীরা। পালাতে গিয়ে ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু অবাধ সুযোগ দিয়ে অর্থলোপটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা আটকানোর সুযোগ যেনো বন্ধ করে রেখে গেছেন সাবেক গভর্নর। মাত্র দুই শতাংশ দিয়েই যখন ইচ্ছাকৃত খেলাপি তখন পুনঃতফসিল করার সুযোগে গত বছর প্রি-শক পরিস্থিতিতে পড়ে ব্যাংকখাত।

ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, ‘আমাদের যেহেতু দেউলিয়া আইনটি নেই সেক্ষেত্রে ব্যাংকের হাতে তো কোনো অস্ত্র নেই। এখানে রিশিডিউল আইন বলে ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়, আর ওইটা নাকি মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দেয় বড় লোনগুলো।’

বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের মহাপচিালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৫ সালেই বলা ছিল যে, এগুলোকে পুনরায় আবার রিশিডিউল করা হবে না। তারপর তো লোটাস কামাল সাহেব এসে আবার শুরু করে দিলেন। উনি যে শুরু করেছে এটা আরও মারাত্মকভাবে খারাপ। কারণ সমস্ত আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস আমরা ভঙ্গ করে করে তাদেরকে সুবিধাগুলো দিয়েছি।’

মামুন রশীদ বলেন, ‘যেকোনো একটা ফার্মকে দিয়ে এই ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলোর রিভিউ করানো দরকার। দেখা প্রয়োজন যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের স্পেশাল সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় কোনো লাভ হয়েছে কি না?’

সরকারের আস্থাভাজনদের নিয়ন্ত্রণের সুযোগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে প্রি-শক পরিস্থিতিতে দেশের ১০টি ব্যাংক ন্যূনতম সিআরএআর রাখতে পারেনি। বছর শেষে অভিঘাত পর্যালোচনায় আসে মাত্র তিন গ্রহীতার কাছে আটকে আছে ১০ ব্যাংকের মূলধন। যা ফেরাতে না পারলে ১০ শতাংশ হারে ব্যাংকগুলো নূন্যতম সিআরএআর সংরক্ষণ করতে ব্যার্থ হবে।

এখন শিল্প খাতে খেলাপি ঋণে আটকে আছে ৫৪.৩২ শতাংশের বেশি অর্থ। এরপরই আছে পোশাক খাত। সাবেক ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণ খেলাপিদের এমন সুযোগ বন্ধ না করা হলে পুরো ঋণের অর্থ না দিলে হুমকিতে পড়বে এসব ব্যাংক। এছাড়া পাওয়া যাবে না ব্যাংকখাতের মূল চিত্র।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু ক্লাসিফাইড লোন কতটুকু, এটা দেখলে তো হবে না। রিশিডিউল করা হচ্ছে, রাইট অফ করা হচ্ছে এবং নিয়মের বাইরেও তো কাজ করা হচ্ছে।’

এদিকে যে খেলাপি ঋণ রয়েছে তা আর মাত্র তিন শতাংশ বাড়লে পাঁচটি ব্যাংক তাদের সিআরএআর রাখতে ব্যর্থ হবে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞায়ন পরিবর্তনের সাথে সাথে আদালতে আটকে থাকা অমীমাংসিত মামলারও নিষ্পত্তি করে ব্যাংকে টাকা ফেরানোর পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।

ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে বলা উচিত, নির্দিষ্ট ব্যাংকগুলোকে অবিলম্বে অর্থঋণ আদালতে মামলা করার জন্য। দ্বিতীয় হচ্ছে, অর্থঋণ আদালতে শুধু মামলা করলেও লাভ হবে না, এর সাথে সাথে ওই সমস্ত দুষ্টু ঋণ গ্রহীতারা, খেলাপি ঋণ গ্রহীতারা হাইকোর্টে চলে যাবে।’

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে দেশে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪.৮৭ লাখ কোটি টাকা। ২০২২ সালে যা ছিল ৩.৭৮ লাখ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ